একজনের মরদেহ আনতে গিয়ে সড়কে ঝড়েছে আরও দুটি তরতাজা প্রাণ। পাশাপাশি সমাহিত করা হয়েছে তিন ভাইকে। এ ঘটনায় ফটিকছড়ির ভূজপুর এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
রোববার (৬ জুলাই) সকাল ১০টায় পূর্ব তালুকদার পাড়া ঈদগাহ মাঠে তাদের জানাজায় অজস্র মানুষের ঢল নামে। জানাজায় ইমামতি করেন মুফতি মাহমুদ হাসান।
স্বজন হারানোর বেদনায় কেবল নিকটাত্মীয়রা আহাজারি করছেন তা নয়, সমগ্র গ্রামবাসী অশ্রুসিক্ত হয়েছেন। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনায় শোকে কাতর সমগ্র ভূজপুর। জানাজায় স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদেছেন রাজনৈতিক নেতারা, জনপ্রতিনিধি ও এলাকার বিশিষ্টজন। একই কবরস্থানে পাশাপাশি তিন কবরে সমাহিত করা হয়েছে মো. বাবুল, ওসমান গণি আর মো. রুবেলকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পিতাকে হারিয়ে নিহত ওসমানের দুই মেয়ে এক ছেলে এখন দিশাহারা। অন্যদিকে, সংসারের উপার্জনক্ষম দুই সন্তানকে হারিয়ে চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছেন অসহায় পিতা। ভূজপুরের এমন মর্মান্তিক ঘটনায় হতভম্ব সমগ্র ফটিকছড়ির মানুষ।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পূর্ব তালুকদার পাড়ার মোহাম্মদ রুবেল অন্তত এক বছর আগে প্রবাসে নির্মম নির্যাতনে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। রুবেলের কফিনবন্দি মরদেহ আনতে গত শনিবার ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছেন তার বড় ভাই মো. বাবুল ও নিকটাত্মীয় মো. ওসমান গণি। তাদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম এলাকায় লরিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান বাবুল ও ওসমান। অপর নিকটাত্মীয় বশির আহমদ সওদাগর গুরুতর আহত হন।
মন্তব্য করুন