বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩১ আশ্বিন ১৪৩২
মহিপুর (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৫, ০২:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে গিয়েই বাজিমাত, জালে আটকা ৬১ মণ ইলিশ

আলীপুর মৎস্যবন্দরে নিলামের মাধ্যমে ইলিশ মাছগুলো বিক্রি করা হয়। ছবি : কালবেলা
আলীপুর মৎস্যবন্দরে নিলামের মাধ্যমে ইলিশ মাছগুলো বিক্রি করা হয়। ছবি : কালবেলা

পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জাল ফেলতেই ভাগ্য বদলে গেল জেলেদের। উঠে এলো ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ যা বিক্রি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩৩ লাখ টাকায়। সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে ৬১ মণ ইলিশ নিয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর মৎস্য বন্দর আলীপুর আসে মাছ ধরা ট্রলারটি।

এসব মাছ বিএফডিসি মার্কেটের মেসার্স খান ফিস নামে একটি আড়তে নিয়ে আসলে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয় ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৪ টাকায়। এ সময় পাইকারদের হাঁকডাকে সরব হয়ে ওঠে মৎস্যবন্দর। জানা গেছে, মাছগুলো কুয়াকাটা থেকে পূর্ব-দক্ষিণ কোণে আনুমানিক ১৭০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের গভীরে ধরা পড়ে।

জেলেদের সূত্রে জানা গেছে, এফবি আল্লাহর দোয়া নামের একটি মাছ ধরা গত বৃহস্পতিবার আলীপুর ঘাট থেকে ২২ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে যাত্রা করেন। গত রোববার সমুদ্রে জাল ফেলতেই মাছগুলো ধরা পড়েছে। মাছগুলো আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে এসে ৪টি সাইজ আকারে আলাদা করে ডাকের মাধ্যমে খান ফিসে বিক্রি করা হয়।

খান ফিসের ম্যানেজার সাগর বলেন, ৯০০ থেকে ১০০০ গ্রাম ওজনের মাছ মণপ্রতি ৭৩ হাজার টাকা যার প্রতি কেজি ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৩০ টাকা, ৬০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের মাছ প্রতি মণ ৫৮ হাজার টাকা, ৪০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি মণ মাছ ৪৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে বিক্রি হয়েছে ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৪ টাকা।

ট্রলারের মাঝি আবু সালে বলেন, নিষেধাজ্ঞার পরে দফায় দফায় বৈরী আবহাওয়া অনেকটা লোকসানে ছিলাম। দীর্ঘ এক মাস পরে ভালো পরিমাণ মাছ পেয়েছি। আলিপুর বন্দরের খান ফিসে ৩৩ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে গত রোববারের চেয়ে সোমবার দাম কিছুটা কম।

মেসার্স খান ফিসের স্বত্বাধিকারী মো. রহিম খান বলেন, ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা বেশ বড় সাইজের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। কয়েকদিন বৈরী আবহাওয়ার কারণে তেমন মাছে দেখা পায়নি বন্দরের জেলেরা। বর্তমানে লম্বা জালে বেশ ভালো পরিমাণ মাছ ধরা পড়ছে।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে জেলেরা বেশ ভালো পরিমাণ মাছ পাচ্ছেন। তবে মাছগুলো গভীর সমুদ্রে বেশি পাওয়া যাচ্ছে। জালের প্রশস্ততা বাড়ালে বড় সাইজের বেশি মাছ ধরা পড়বে। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সমুদ্রে বেশ ভালো পরিমাণ মাছের লক্ষ করা যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বন্দরের জেলেরা ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ পাবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চবিতে মুখোমুখি অবস্থানে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির

চাকসুর ফল কারচুপির চেষ্টার অভিযোগে শাহবাগে ছাত্রদলের অবস্থান

৩১ দফা বাস্তবায়নে / বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী সোহাগের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

চবিতে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

সেনা হেফাজতে থাকা কর্মকর্তাদের বিচার নিয়ে ভলকার তুর্কের আহ্বান

বিএনপিকে ধন্যবাদ জানাল জামায়াত

চাকসু নির্বাচনে আরেক হলের ফল ঘোষণা, ভিপি পদে এগিয়ে ছাত্রদল

গোমতীর চরে আগাম সবজির চাষ, অধিক লাভের আশা কৃষকের

নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে কেশবপুরের তপস্যা

গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

১০

ইন্দোনেশিয়ায় তেলবাহী ট্যাঙ্কারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ১০

১১

রাত থেকে লাইনে নারী-পুরুষ, সকালে মেলে আটা

১২

ওসিকে অপসারণে শিক্ষার্থীদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

১৩

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

১৪

উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ দিপালী উৎসব কাউনিয়া আদি শ্মশানে

১৫

বিশ্ব মেরুদণ্ড দিবস ২০২৫ : মেরুদণ্ডের যত্নে সচেতন হই, সুস্থ জীবন গড়ি

১৬

কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের বেইলি ব্রিজে ফাটল, দুর্ঘটনার শঙ্কা

১৭

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দলের একক মাতবরি থাকবে না : নুর

১৮

জুলাই জাতীয় সনদে সই করবে না ৪ দল

১৯

সিলেটে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ভাগ্য নির্ধারণ রোববার

২০
X