বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২
মহিপুর (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৫, ০২:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে গিয়েই বাজিমাত, জালে আটকা ৬১ মণ ইলিশ

আলীপুর মৎস্যবন্দরে নিলামের মাধ্যমে ইলিশ মাছগুলো বিক্রি করা হয়। ছবি : কালবেলা
আলীপুর মৎস্যবন্দরে নিলামের মাধ্যমে ইলিশ মাছগুলো বিক্রি করা হয়। ছবি : কালবেলা

পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জাল ফেলতেই ভাগ্য বদলে গেল জেলেদের। উঠে এলো ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ যা বিক্রি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩৩ লাখ টাকায়। সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে ৬১ মণ ইলিশ নিয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর মৎস্য বন্দর আলীপুর আসে মাছ ধরা ট্রলারটি।

এসব মাছ বিএফডিসি মার্কেটের মেসার্স খান ফিস নামে একটি আড়তে নিয়ে আসলে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয় ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৪ টাকায়। এ সময় পাইকারদের হাঁকডাকে সরব হয়ে ওঠে মৎস্যবন্দর। জানা গেছে, মাছগুলো কুয়াকাটা থেকে পূর্ব-দক্ষিণ কোণে আনুমানিক ১৭০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের গভীরে ধরা পড়ে।

জেলেদের সূত্রে জানা গেছে, এফবি আল্লাহর দোয়া নামের একটি মাছ ধরা গত বৃহস্পতিবার আলীপুর ঘাট থেকে ২২ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে যাত্রা করেন। গত রোববার সমুদ্রে জাল ফেলতেই মাছগুলো ধরা পড়েছে। মাছগুলো আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে এসে ৪টি সাইজ আকারে আলাদা করে ডাকের মাধ্যমে খান ফিসে বিক্রি করা হয়।

খান ফিসের ম্যানেজার সাগর বলেন, ৯০০ থেকে ১০০০ গ্রাম ওজনের মাছ মণপ্রতি ৭৩ হাজার টাকা যার প্রতি কেজি ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৩০ টাকা, ৬০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের মাছ প্রতি মণ ৫৮ হাজার টাকা, ৪০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি মণ মাছ ৪৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে বিক্রি হয়েছে ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৪ টাকা।

ট্রলারের মাঝি আবু সালে বলেন, নিষেধাজ্ঞার পরে দফায় দফায় বৈরী আবহাওয়া অনেকটা লোকসানে ছিলাম। দীর্ঘ এক মাস পরে ভালো পরিমাণ মাছ পেয়েছি। আলিপুর বন্দরের খান ফিসে ৩৩ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে গত রোববারের চেয়ে সোমবার দাম কিছুটা কম।

মেসার্স খান ফিসের স্বত্বাধিকারী মো. রহিম খান বলেন, ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা বেশ বড় সাইজের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। কয়েকদিন বৈরী আবহাওয়ার কারণে তেমন মাছে দেখা পায়নি বন্দরের জেলেরা। বর্তমানে লম্বা জালে বেশ ভালো পরিমাণ মাছ ধরা পড়ছে।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে জেলেরা বেশ ভালো পরিমাণ মাছ পাচ্ছেন। তবে মাছগুলো গভীর সমুদ্রে বেশি পাওয়া যাচ্ছে। জালের প্রশস্ততা বাড়ালে বড় সাইজের বেশি মাছ ধরা পড়বে। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সমুদ্রে বেশ ভালো পরিমাণ মাছের লক্ষ করা যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বন্দরের জেলেরা ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ পাবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাঙলা কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবির ও সেক্রেটারি সাকিব

উপুড় হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস, ডেকে আনছেন যেসব ক্ষতি

পাল্টা শুল্ক নিয়ে তৃতীয় ধাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার

পুলিশ সদর দপ্তরের পর্যালোচনা / ছয় মাসে ২৭ হত্যার কোনোটিই সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নয়

‘আঙুল তোলার আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখুন’

কিডনির সমস্যা আছে কি না জানবেন যেভাবে

৩ দলকে স্বেচ্ছাসেবক দলের হুঁশিয়ারি

আসিফ মাহমুদের প্রশ্ন / ‘নৌকা’ মার্কাটা কোন বিবেচনায় শিডিউলভুক্ত করতে পাঠালেন

হাসপাতালে ঢুকে রোগীকে মারধর, চিকিৎসককে তুলে নেওয়ার হুমকি

ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রধান নেতা ৫ দিনের রিমান্ডে

১০

ছাত্রদলের দুই নেতাকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা 

১১

এনসিপির সাড়া দেখে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে : হান্নান মাসউদ

১২

জবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিলেন শিক্ষার্থীরা

১৩

মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর

১৪

কেন ইমাম হুসাইনের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন হিন্দুরা?

১৫

লিজের জমি ‘দখল’ নিতে মানববন্ধন

১৬

বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে ধারণ করতে হবে : রুয়েট উপাচার্য

১৭

নখ-দন্তহীন উচ্চকক্ষ কোনো কাজে আসবে না : এবি পার্টি

১৮

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ বুধবার

১৯

সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা

২০
X