জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা ঘিরে গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা করে পুলিশ। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরীহ মানুষদের গণগ্রেপ্তার করছে এমন দাবি করে কোটালীপাড়ায় সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা বিএনপি। এতে গণগ্রেপ্তার বন্ধের দাবি তোলেন নেতারা।
রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার ঘাঘর নদীর পাড়ে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বসার হাওলাদার বলেন, গোপালগঞ্জে একটি প্রোগ্রামকে কেন্দ্র করে কোটালীপাড়ায় বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরা ওয়াবদারহাট নামক স্থানে রাস্তায় গাছ কেটে ফেলে সাধারণ জনগণের যাতায়াতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। জনসাধারণের ভেতরে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা করা হয়। ১৫৫ জনকে এজাহারভুক্ত এবং ১৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা হয়। এ মামলায় আজ কোটালীপাড়ার সাধারণ মানুষ আতংকিত।
তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন এজাহারের বাইরে অনেক মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। এটা কোটালীপাড়ার মানুষ এখন গণগ্রেপ্তারের শিকার হচ্ছে।
তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমরা যারা বিএনপি করি এবং আমাদের সহযোগী সংগঠনের কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। কে বা কারা এ নামগুলো দিয়েছে আমাদের জানা নেই।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষ আজ আতঙ্কিত আগামীতে যাতে কোনো সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ এবং শ্রমজীবী, চাকরিজীবী ছাত্র-জনতা গ্রেপ্তার না হয়, পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আমরা এ দাবি জানাই। যারা প্রকৃত রাস্তা অবরোধ করে ভীতি প্রদর্শন করেছিল তাদের যেন ভিডিও ফুটেজ দেখে আইনের আওতায় আনা হয়।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসএম মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফায়েক উজ্জামান শেখ, যুবদলের সদস্য সচিব মান্নান শেখসহ পৌর বিএনপির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত বুধবার (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জে এনসিপির লং মার্চ টু গোপালগঞ্জের কর্মসূচির প্রতিবাদে কোটালীপাড়া উপজেলার ওয়াবদারহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৫৫ জনকে এজাহারনামীয় এবং ১৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা করেন।
মন্তব্য করুন