তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পাট জাগ দিতে ভোগান্তি

পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না কৃষকরা। ছবি : কালবেলা
পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না কৃষকরা। ছবি : কালবেলা

পর্যাপ্ত পানির অভাবে চলনবিল অঞ্চলে সোনালি আঁশ পাট জাগ দেওয়া যাচ্ছে না। মূলত আষাঢ়-শ্রাবণ বর্ষাকাল হলেও শ্রাবণের প্রথম সপ্তাহেও বিল অধ্যুষিত এলাকায় পানির দেখা নেই। খাল-বিল, পুকুরে পাট পচানোর জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা ও পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে, পাট জাগ দেওয়ার পানির সংকটে পাট কাটতে পারছেন না অনেক কৃষক।

চলনবিলের সমন্বিত কৃষি তথ্য সূত্রে জানা গেছে, এ বছর পাটের মৌসুমে চলনবিল অঞ্চলের তাড়াশে ৮১০ হেক্টর, গুরুদাসপুরে ৪ হাজার ৭৫০ হেক্টর, শাহজাদপুরে ৩৮৭ হেক্টরসহ নয়টি উপজেলা এলাকায় তোষা, কেনাফ, মেস্তাসহ কয়েকটি জাতের পাটের আবাদ হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ১০৩ হেক্টর জমিতে।

শনিবার (২৬ জুলাই) সরেজমিনে তাড়াশ উপজেলার পৌর এলাকার রঘুনিলী মহল্লায় বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, পানির অভাবে কিছু জমির কাটা পাট গাছগুলো শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একই অবস্থা তাড়াশের হেদার খাল এলাকায়। সেখানেও দেখা যায় মো. আফজাল হোসেন নামের এক কৃষক তার জমির পাট কেটে ফেলে রেখেছেন। তিনিও পানির সংকটে পাট জাগ দিতে পারছেন না। অবশ্য এখানে একটি অপ্রশস্ত খালে কিছু পানি থাকলেও নৌ চলাচলের কারণে পাট জাগ দেওয়া সম্ভব না। কেননা পাট জাগ দিলে নৌ চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। তাই এ কৃষক বিকল্প পাট জাগের জায়গা খুঁজছেন বলে জানান।

আবার অনেকে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকায় ব্যক্তি মালিকানার জলাশয় খণ্ডকালীন সময়ের জন্য ভাড়া নিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন এমন তথ্য জানিয়েছেন চলনবিলের কালুপাড়া গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান।

অন্যদিকে নওগাঁ এলাকার পাটচাষি কৃষক মো. আয়নাল প্রমাণিক বলেন, আমি দুই বিঘা জমিতে এ বছর পাটচাষ করেছি। ফলন বেশ ভালো হয়েছিল, কিন্তু পানির অভাবে এক বিঘা জমির কাটা পাট এখনো জাগ দিতে পারিনি। এ জন্য জমিতেই পাটগাছ শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে।

কৃষক আব্দুল জব্বার হোসেন, কেরাতম আলী, ফিরোজ হোসেনসহ অনেকে জানান, তাদের জমির পাট কাটার উপযোগী হলেও তারা পাট জাগের পানি আর জায়গার সংকটের কথা ভেবে পাট কাটছেন না। অথচ পাট কেটে তারা ওই জমিতে রোপা আমনের আবাদ করবেন, যা পিছিয়ে যাচ্ছে।

অন্যদিকে চলনবিলে বিভিন্ন এলাকার কোনো কোনো পাটচাষি অপরিষ্কার পানিতে পাট জাগ দিচ্ছেন, যার কারণে পাটের আঁশের রং কালচে হয়ে যাচ্ছে এবং বাজারে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম রাফিউল ইসলাম জানান, চলনবিল একটি বৃহৎ এলাকা। আর আমার উপজেলায় পাট জাগের জলাশয় ও পানির সংকট আছে।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শর্মিষ্ঠা সেন গুপ্তা বলেন, আমার এলাকায় সবে পাট কাটা শুরু হয়েছে। আর এ উপজেলার কিছু জায়গায় পাট জাগের পানির সংকট থাকলেও বেশিরভাগ স্থানে পাট জাগের পানি ও জলাশয়ের তেমন সংকট হওয়ার কথা নয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ

পাশাপাশি ২ ভবন ধসে নিহত ১৯

১৪০ আসনে প্রার্থী দিল এনপিপি

৬ ঘণ্টার বেশি অবরুদ্ধ থেকে সচিবালয় ছাড়লেন অর্থ উপদেষ্টা

খালেদা জিয়া চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন : ডা. জাহিদ

বরগুনায় টেকসই প্লাস্টিক ব্যবহার ও সামুদ্রিক আবর্জনা প্রতিরোধে সেমিনার

শীতে ত্বকের যত্নে পেট্রোলিয়াম জেলি নাকি গ্লিসারিন, কোনটি সেরা?

সাত ঘণ্টায়ও উদ্ধার হয়নি গভীর নলকূপে পড়ে যাওয়া শিশুটি

মিয়ানমারে পাচারকালে সিমেন্টবোঝাই দুটি ট্রলারসহ আটক ২২

উন্নত মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় কৌশল উপস্থাপিত

১০

আসিফের দলে যোগদান বিষয়ে যে তথ্য দিলেন রাশেদ

১১

বিএনপি আধুনিক ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : মীর হেলাল

১২

চট্টগ্রামে ফিউচারিস্টিক বিডির ‘করপোরেট ফুটসাল কার্নিভাল’

১৩

বিএনপির ভোলা সদর কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

১৪

পরকীয়া ফাঁস, ১১ তলা থেকে পাইপ বেয়ে পালালেন তরুণী

১৫

ক্লান্ত হয়ে আকাশ থেকে পড়ল হিমালয়ান শকুন

১৬

সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের অবদান রয়েছে : প্রধান বিচারপতি

১৭

আসিফের ‘নতুন যাত্রা’ নিয়ে সারজিসের মন্তব্য

১৮

সুখবর পেলেন বিএনপির ৬ নেতা

১৯

পরিবেশ অধিদপ্তরকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত ঘোষণা

২০
X