ডামুড্যা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শরীয়তপুরে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয় থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

ডামুড্যা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন। ছবি : সংগৃহীত
ডামুড্যা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন। ছবি : সংগৃহীত

শরীয়তপুর ডামুড্যা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অডিট কর্মকর্তাদের নামে প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে এক হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা এ অভিযোগ তুলেছেন।

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে অভিযোগের বিষয়টি সাংবাদিকরা জানতে গেলে অফিস থেকে দ্রুত চলে যান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডামুড্যা উপজেলা ও জাজিরা উপজেলার শিক্ষা কার্যক্রমের অগ্রগতি দেখার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে একটি অডিট টিম আসে। সেই টিমকে দেওয়ার কথা বলে ডামুড্যা উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে এক হাজার করে টাকা তোলার জন্য প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশ দেন উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দীন।

এরপর প্রায় ৬৯ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে প্রত্যেক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ডেকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়।

কয়েকজন প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার জোর করে বিভিন্ন ইস্যুতে টাকা উত্তোলন করেন। অডিট আসার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে এক হাজার করে টাকা নিয়েছেন। আবার কী কারণে সেই টাকা ফেরত দিয়েছেন সেটা আমরা জানি না।

২৯ নম্বর কেউর ভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজি ফারুক আলম ফোনে বলেন, ‘অডিটের কথা বলে এক হাজার করে টাকা নিয়েছিলেন, আবার সেই টাকা ফেরত দিয়েছেন। কেনো ফেরত দিয়েছেন সেটি আমি জানি না।’

ডামুড্যা উপজেলার শিক্ষক সমিতির সভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, ‘উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, তিনি অডিট টিমের জন্য টাকা উত্তোলন করেছিলেন। তারা টাকা নেবেন না, সেজন্য ফেরত দিয়েছেন। তার সঙ্গে কথা বলে এতটুকু জানতে পেরেছি, এর বেশি কিছু জানি না। তবে এটি ভালো জানে প্রধান শিক্ষকরা।’

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্য আনতে গেলে তিনি সাংবাদিকের কথা শুনে দ্রুত অফিস থেকে চলে যান। পরে তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাছিবা খান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। কেউ লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এরশাদ উদ্দিন আহমেদ ফোনে বলেন, ‘শিক্ষার মানোন্নয়নের বিষয়টি দেখার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে একটি অডিট টিম এসেছিল। এ জন্য টাকা উত্তোলনের করার কোনো সুযোগ নেই। টাকা উত্তোলন করা হয়েছে, এমনটা আমার জানা নেই। শিক্ষা কর্মকর্তা টাকা উত্তোলন করেছেন-এমন লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ধেয়ে আসছে অতি ভারী বৃষ্টিবলয় ‘স্পিড’, কবে কোথায় প্রভাব ফেলবে

এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার

ইমিগ্রেশনের সময় যে ৭ কথা বললেই মহাবিপদ

সাগর-রুনির সন্তান মেঘের হাতে পূর্বাচলের প্লটের দলিল হস্তান্তর

৮ মামলায় ইমরান খানের জামিন

মাদ্রাসাপ্রধানদের জন্য অধিদপ্তরের জরুরি নির্দেশনা, না মানলে ব্যবস্থা

বরাদ্দ পেল বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

স্থিতিশীল অর্থনীতির জন্য গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের

কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

যে বয়সের আগেই শিশুকে ৮ শিক্ষা দেওয়া জরুরি

১০

দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা প্রধান শিক্ষকের, তদন্তে কমিটি

১১

চট্টগ্রাম-৩ আসনে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী মিল্টন ভুঁইয়া

১২

বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা নিয়ে ‘সুখবর’ পাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা

১৩

ফেসবুক পেজ জনপ্রিয় করার ৮ কৌশল

১৪

বাড়ির আঙিনায় বিষধর পদ্মগোখরা, অতঃপর...

১৫

মোবাইল দিয়েই ডিএসএলআর ক্যামেরার মতো ছবি তোলার ৫ কৌশল

১৬

বরইতলা নদীর ‘বাঁধ’ এখন মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর

১৭

ইস্পাত খাতে বিশেষ তহবিল চান ব্যবসায়ীরা

১৮

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আগ্রহী পাকিস্তান

১৯

উপকূলজুড়ে টানা বৃষ্টিপাত, জনজীবনে দুর্ভোগ

২০
X