প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ‘আমি কুষ্টিয়ার ছোট্ট একটি গ্রাম থেকে সংগ্রাম করতে করতে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হয়েছি। জীবন সংগ্রাম কখনো বিফলে যায় না। সুতরাং ওপরে উঠতে গেলে সংগ্রাম করতে হবে।’
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ৬ তলাবিশিষ্ট ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরে কলেজ চত্বরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় যোগ দেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিচারক সংকটের কারণে মামলার জট কমানো যাচ্ছে না। অনেক কমসংখ্যক বিচারক দিয়েই মামলা চালাতে হচ্ছে। আগামী ৫-৭ বছরে মধ্যে মামলার জট কমে আসবে।
সততা ও নৈতিকতা ছাড়া জীবনে সফলতা পাওয়া যায় না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সাল আমাদের গৌরবের। একাত্তরের চেতনাকে আমাদের মনে-প্রাণে ধারণ করতে হবে।
প্রধান বিচারপতি এ সময় ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, একাত্তরের চেতনাকে ধারণ করতে না পারলে, ৩০ লাখ শহীদের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। আমরা যদি আমাদের দেশকে উন্নত করতে পারি, তবে আমাদের অন্য দেশে কাজ করতে যেতে হবে না।
অবসর সময়ে তিনি কীভাবে ছোট্ট একটি গ্রাম থেকে প্রধান বিচারপতি হয়েছেন সে বিষয়ে একটি বই লিখবেন বলেও জানান তিনি।
এর আগে বেলা ১১টায় তিনি সাতক্ষীরা জজকোর্ট চত্বরে নির্মাণাধীন ন্যায়কুঞ্জ ভবনের উদ্বোধন করেন।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ আল হাদির সভাপতিত্বে এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম আল রাজী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহম্মদ সাইফুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মো. আসাদুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
মন্তব্য করুন