ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, সংস্কারের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংস্কার হলো নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার। আগে ৩০ শতাংশ ভোটে নির্বাচিতরা দেশ শাসন করেছে আর ৭০ শতাংশ পার্সেন্ট ভোটের কোনো মূল্যায়ন হয়নি। আর পিআর পদ্ধতিতে সব ভোটারের মূল্যায়ন হয়। সব রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে লাকসামে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা শাখা আয়োজিত ছাত্র-সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় চরমোনাই পীর রেজাউল করীম বলেন, আমরা রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য। বিগত ৫৩ বছরে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে, তাতে এ দেশের মানুষের কল্যাণ সাধিত হয়নি। বরং কালো টাকার দৌরাত্ম্য, পেশিশক্তির কারণে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। যেন-তেনভাবে নির্বাচন হয়েছে।
মুফতি রেজাউল করীম বলেন, বাংলাদেশে সব উত্থান-পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে ছাত্ররা। যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান। এ দেশে পুনরায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, খুন-ধর্ষণ, ছাত্র-জনতা আর মেনে নেবে না। ৫ আগস্টের পর যারা এসব অপকর্ম করেছে তাদের প্রতিহত করতে হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মুনতাছির আহমাদ, কার্যনির্বাহী সদস্য আলহাজ সেলিম মাহমুদ, কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের সভাপতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার সেক্রেটারি সৈয়দ এ কে এম সরওয়ার সিদ্দিকি, ইসলামী যুব আন্দোলনের শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ মোরশেদুল আলম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক নেছার উদ্দিন সুমন, কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ শাখার সভাপতি মাওলানা নূরে আলম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের আলিয়া মাদ্রাসা সম্পাদক রশীদ আহমাদ রায়হান, জেলা দক্ষিণ শাখার উপদেষ্টা শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া, জেলা দক্ষিণ শাখার সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুর রহমান হাসিব, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুফতি ওমায়ের আল হোসাইনী, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা দক্ষিণ সভাপতি মুফতি হাবিবুন্নবী ইমন, জামায়াতে ইসলামীর লাকসাম উপজেলা আমির হাফেজ জহিরুল ইসলাম, লাকসাম পৌরসভা জামায়াতের আমির মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন পাটোয়ারী, খেলাফত মজলিস লাকসাম পৌরসভা সভাপতি মুফতি মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন