ভোটারদের উদ্দেশে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, ‘আপনারা আপনাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
তিনি বলেন, ‘ইলেকশন কমিশন বিগত দিনে প্রায় এক হাজারের উপরে ইলেকশন করেছে। এর মধ্যে বেনাপোল পৌরসভা, হরিহরনগর ইউনিয়ন রয়েছে। সেখানে ৫১ পারসেন্ট ভোটার হাজির হয়েছিল যাদের কেউই ভোট না দিয়ে বাড়ি যায়নি। এটা আমাদের গর্ব।’
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে যশোরের ঝিকরগাছা পৌর সদরে সম্মিলনী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের হলরুমে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার।
এ সময় তিনি বলেন, বিগত পাঁচ বছর ধরে যারা পদে আছে তাদের দেখেছে জনগণ, আর যারা নেই তাদেরও দেখেছে জনগণ। আমি জানি মুসল্লি কিংবা মুক্তিযোদ্ধা কেমন। যে আমার বিপদে সহায়তা করে, সময় আসলে আমি তাকেই ফুলের মালা দিয়ে গ্রহণ করব। এই সচেতনতাবোধ, ভালোকে ভালো বলা এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যম দিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনাকে আমরা মূল্যায়ন করি।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে মো. আহসান হাবিব খান বলেন, আপনাদের জন্য হাজারো সালাম। আপনাদের জন্যই আমি এখানে, আপনাদের জন্যই নির্বাচন কমিশন। আপনাদের জন্যই বাংলাদেশের মানুষকে নিজেদের পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে। এই ক্রেডিটটা আপনাদের দিতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, চোখ বন্ধ করে নিজেকে জিজ্ঞাসা করবেন আমি নিজে ঠিক আছি কিনা আর ঈমান মাফিক চলছি কিনা। এই দুইটা জিনিস ঠিক থাকলে আর কোনো মতবিরোধ থাকত না, শুধু সোনার বাংলা না, হিরার বাংলা, প্লাটিনামের বাংলা, টাইটানিয়ামের বাংলা হয়ে যেত।
এ সময় তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, স্কুলশিক্ষকসহ সাতজনকে নিজ হাতে স্মার্ট কার্ড দেন। এরপর কৃষ্ণনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে কার্ড বিতরণ কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, খুলনা অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, ডিডিএলজি যশোরের মো. রফিকুল হাসান, ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম, ঝিকরগাছা পৌর মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে ও ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাচন কমিশনার সৌমেন বিশ্বাস ছন্দ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আনিছুর রহমান।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নিবন্ধিত মোট দুই লাখ ৯ হাজার ভোটারকে এই স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে শিডিউল মোতাবেক ভোটাররা দশ আঙুলের ছাপ এবং আইরিশ দেওয়ার মাধ্যমে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। এই কার্যক্রমে তথ্যসেবা কেন্দ্র খুলে ভোটারদের বক্স আইডি নম্বর দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা করছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য মোস্তফা আশিষ ইসলাম।
মন্তব্য করুন