দুর্গাপূজার সরকারি ছুটিকে কেন্দ্র দেশের অন্যতম সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটায় নেমেছে পর্যটকের ঢল।
বুধবার (১লা অক্টোবর) শেষ বিকেলে সরেজমিনে দেখা সৈকতের জিরো পয়েন্টের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের প্রায় ৫ কিলোমিটার সৈকত জুড়ে পর্যটকদের ঢল নেমেছে।
অনেকেই অধীর আগ্রহ নিয়ে মুখিয়ে রয়েছে সূর্যাস্তের দিকে, কেউ কেউ বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন সমুদ্রের বিশাল ঢেউ। স্নিগ্ধ বাতাসে অনেকেই সেলফি তুলে ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। অনেকেই সমুদ্রে গোসলে মেতেছেন স্নিগ্ধ বিকেলের ঢেউ উপভোগে।
পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে এসেছেন সাগরকন্যা কুয়াকাটায়। এতে পুরো পর্যটন নগরী ভরে উঠেছে প্রাণচাঞ্চল্যে।
ঢাকা, বরিশাল, খুলনা, ফরিদপুর, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পর্যটকরা সৈকতে হাঁটাহাঁটি, ছবি তোলা, সাগরে গোসল আর ঘোড়ায় চড়াসহ নানা বিনোদনে মেতে উঠছেন। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত একসঙ্গে উপভোগের সুযোগ থাকায় কুয়াকাটায় বেড়েছে ভ্রমণকারীদের আগ্রহ।
দুর্গাপূজার ছুটি ঘিরে কুয়াকাটার হোটেল-মোটেলগুলোতে বুকিংয়ের চাপ তুঙ্গে পৌঁছেছে। ইতোমধ্যেই প্রায় ৯৫ ভাগ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। স্থানীয় হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি বলছে, পর্যটকদের সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম অহিদ বলেন, ইতোমধ্যেই প্রায় ৯৫ ভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। দুর্গাপূজার ছুটিকে ঘিরে পর্যটকদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
ট্যূরিষ্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে কয়েকদিনের টানা ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপচে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে, আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার টুরিস্ট পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত। সবগুলো স্পটে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি রয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার হামিদ কালবেলাকে বলেন, ইতোমধ্যেই মহিপুর থানা ও টুরিস্ট পুলিশসহ সকল ধরনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপর রয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নাই।
মন্তব্য করুন