পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পার্বত্য জেলা রাঙামাটি। ঈদের টানা ছুটিতে হ্রদ পাহাড়ের কোলে সময় কাটাতে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। এতে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত খাতগুলো। শতভাগ বুকিং সাজেকের রিসোর্ট কটেজ।
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ, পলওয়েল পার্ক, ঝুলন্ত সেতু, ডিসি বাংলো পার্ক, রাঙামাটি পার্ক, আসামবস্তী কাপ্তাই সড়ক, সুবলং ঝরনা, ঘাগড়া ঝরনাসহ জেলার সব মনোমুগ্ধকর জায়গায় পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইঞ্চিনচালিত ট্যুরিস্ট বোটে করে কাপ্তাই হ্রদের বুকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকদের অধিকাংশই।
মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেক ভ্যালিও এখন পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত। মেঘ পাহাড়ের মিতালি সৌন্দর্য উপভোগে সেখানেও ছুটছেন পর্যটকরা। বর্ষায় প্রকৃতিতে সাজেকের সৌন্দর্য অনেকগুণ বেড়ে গেছে। এতে রিসোর্ট কটেজে প্রায় শতভাগ বুকিং রয়েছে।
বরিশাল থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক আব্দুর রহমান জানান, রাঙামাটিতে পাহাড় হ্রদের এত সৌন্দর্য আমি আসার আগে কল্পনা করিনি। চারিদিকে সবুজ। এখানকার প্রকৃতি আমাকে প্রচুর আকৃষ্ট করেছে।
খুলনা থেকে আসা পর্যটক অনন্ত মোহন্ত জানান, রাঙামাটি এসে কাপ্তাই হ্রদ, ঝুলন্ত সেতু, সুবলং ঝরনা ঘুরেছি। আমার কাছে খুব সুন্দর লেগেছে। মনে হচ্ছে প্রকৃতি আমাদের আপন করে নিয়েছে এখানে।
রাঙামাটির ট্যুরিস্ট বোট ব্যবসায়ী রমজান আলী জানান, এবার ঈদের ছুটিতে প্রত্যাশিত পর্যটক এসেছে। আমরা পর্যটকদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সেভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, ঈদের দুই দিন পর থেকে রাঙামাটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। আমাদের ৮০ শতাংশ রুম বুকিং রয়েছে। তবে বুকিং চলমান রয়েছে। সব এসি রুম আগেই বুকিং হয়ে গেছে। আশা করছি শতভাগ বুকিং থাকবে ছুটির এই কয়টা দিন।
সাজেক রিসোর্ট ও কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেববর্মণ জানান, সাজেকে মোট ৯৮টি কটেজ রিসোর্টের প্রায় শতভাগ বুকিং রয়েছে। যার কমবেশি ১৩ জুন পর্যন্ত থাকবে।
মন্তব্য করুন