ঢাকার সাভারে হানিট্র্যাপের শিকার হয়ে অপহৃত হয়েছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর মো. মেহেদী হাসান। পরে নাটকীয় অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় এক নারী সদস্যসহ চার অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় সাভারের জামশিং এলাকা থেকে অপহৃত মেহেদী হাসানকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অপহরণের ঘটনাটি ঘটে। এ দিন সাভার থানার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মিনি চিড়িয়াখানার সামনের পাকা রাস্তা থেকে মেহেদী হাসানকে কৌশলে অপহরণ করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। পরে তারা ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
বিষয়টি জানাজানি হলে মেহেদীর পরিবার জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চায়। খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ অভিযানের নির্দেশ দেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জুয়েল মিয়া। তার নির্দেশে এসআই জাকির আল আহসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় টানা ২০ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে পরদিন শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে সাভারের জামশিং এলাকা থেকে অপহৃত মেহেদী হাসানকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। অভিযানের সময় অপহরণের কাজে ব্যবহৃত একটি লেগুনা গাড়িও জব্দ করা হয়।
একই অভিযানে হানিট্র্যাপে জড়িত চার সদস্যের একটি অপহরণ চক্রকেও গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন— রংপুরের পীরগাছা থানার বাসিন্দা মো. জয়নালের ছেলে শরিফুল (২৫)। একই এলাকার বাসিন্দা মো. আ. হাকিমের ছেলে মো. জয়নাল (২৫)। ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জ থানার দত্তপাড়ার বাসিন্দা আ. রাজ্জাকের মেয়ে সকাল আনমনা (১৯)। শেরপুর জেলার নকলা থানার নাইরোনখোলা বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. বজলু মিয়ার ছেলে মো. কাওসার হোসেন কনক (২০)। বর্তমানে তারা সাভারের রেডিও কলোনি ও গেন্ডা এলাকায় বসবাস করেন।
সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জুয়েল মিয়া কালবেলাকে বলেন, এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হানিট্র্যাপ অপহরণ চক্র। আমাদের পুলিশ সদস্যরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করায় ভুক্তভোগীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
তিনি আরও জানান, আটকরা দীর্ঘদিন ধরে সাভার ও আশপাশের এলাকায় হানিট্র্যাপের মাধ্যমে অপহরণ ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত ছিল। চক্রটির আরও সদস্যদের শনাক্তে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন