কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দুই ভাইকে হত্যার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর আলমকে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি : কালবেলা
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর আলমকে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি : কালবেলা

কক্সবাজারের রামুতে সহোদর দুই শিশুকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিন নারীসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক ওসমান গণি এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মীর মোশারফ হোসেন টিটু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—গর্জনিয়া বড়বিল এলাকার জাহাঙ্গীর আলম, আবদু শুক্কুর, আলমগীর হোসেন প্রকাশ বুলু, মিজানুর রহমান ও মো. শহীদুল্লাহ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—একই এলাকার আবদুল মজিদ বদাইয়া, ফাতেমা খাতুন, রাশেদা খাতুন ও লায়লা বেগম।

রায় ঘোষণাকালে প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অন্যরা সবাই পলাতক রয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি বিকেলে রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল এলাকার দোকান কর্মচারী মো. ফোরকানের দুই ছেলে হাসান শাকিল (১০) ও হোসেন কাজল (৮) বাড়ির অদূরে খেলছিল। পাখির ছানা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে জাহাঙ্গীর আলমসহ একটি চক্র তাদের অপহরণ করে।

আরও জানা গেছে, অপহরণের পর ওই দিন রাতে মুঠোফোনের মাধ্যমে পরিবারের কাছ থেকে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্র। এরপর পুলিশ ও স্থানীয়রা মিলে স্থানীয় পাহাড়ি এলাকাসহ অপহরণকারীদের আস্তানায় তল্লাশি চালায়। অপহরণের দুদিন পর ১৯ জানুয়ারি রাত ১২টার দিকে স্থানীয় জালালের ফলের বাগান সংলগ্ন একটি খালের পাড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় অপহৃত দুই শিশুর মরদেহ পাওয়ায় যায়। নিহত শিশুদের বাবা ফোরকান বাদী হয়ে রামু থানায় আটজনের নাম উল্লেখ ও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা করেন। ঘটনার পরপরই ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর আলম জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন, মুক্তিপণ না দিয়ে পুলিশকে ঘটনা জানানোয় ক্ষুব্ধ হয়ে দুই শিশুকে হত্যা করা হয়। একটি বাড়িতে হত্যা করে মরদেহ প্রথমে ড্রামে ভরে রাখা হয়। পরে সুযোগ বুঝে স্থানীয় খালের পাড়ে ফেল দেয় আসামিরা। তার নেতৃত্বে এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে এবং সঙ্গে কয়েকজন ছিল।

আইনজীবী মীর মোশারফ হোসেন টিটু বলেন, ৯ বছর ধরে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম চলে। এ সময় সাক্ষী-প্রমাণসহ পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আসামিদের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। তাই আদালত আইনের বিধি মোতাবেক সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং চার আসামিকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন। এ ছাড়া তাদের জরিমানা করেছেন আদালত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রেড ক্রিসেন্টে চাকরির সুযোগ, আজই আবেদন করুন

নিখোঁজ প্রতিবন্ধী শিশুর লাশ মিলল পুকুরে

জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আগুন, পুড়েছে নথিপত্র

সরকারকে সহযোগিতা করা জরুরি : রাষ্ট্রদূত মুশফিক

তিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রাও একই

সরে দাঁড়ালেন সৌম্যসহ ৫ ক্রিকেটার, ডাক পেলেন যারা

সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মামলা

লোকসানের ঝুঁকি নিয়েও আলু চাষে নেমেছেন কৃষকরা

গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে নিয়ে যে বিবৃতি দিল বিসিবি

মধ্যরাতে হাদিকে নিয়ে নাহিদের আবেগঘন পোস্ট

১০

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মির্জা ফখরুলের যে আহ্বান

১১

আবুল খায়ের গ্রুপে চাকরি, থাকছে না বয়সসীমা

১২

বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে যত খেলা

১৩

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

১৪

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১৫

ঢাকায় সবনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড

১৬

রাজধানীতে ১২ তলা ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট

১৭

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৮

১৩ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৯

তারেক রহমান ‘নিজে’ মনোনয়নপত্র জমা দেবেন : আমীর খসরু

২০
X