

সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক ও সমন্বিত শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র কর্মসূচির পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া বলেছেন, পথশিশুদের সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সঠিক পুনর্বাসন ও পরিচর্যার মাধ্যমে এই ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। এর ফলে তারা রাষ্ট্রের মূল্যবান সম্পদে পরিণত হবে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে রাজশাহীতে সমন্বিত শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি জানান, সমন্বিত শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে সুবিধাবঞ্চিত, ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় থাকা শিশুরা আশ্রয় পায়। এর মধ্যে রয়েছে মা-বাবাহীন, গৃহহীন এবং অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে থাকে শিশুরা। তাদের নিরাপত্তা, পুনর্বাসন ও সামাজিক একীভূতকরণের লক্ষ্যেই এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
পরিচালক আবদুল হামিদ বলেন, সরকার ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ও সমন্বিত উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও সরকারি সেবা শক্তিশালী হলে পথশিশুরা সমাজের বোঝা নয়, বরং রাষ্ট্রের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, শিশুদের শুধু আশ্রয় দিলেই রাষ্ট্রের দায়িত্ব শেষ হয় না। তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নৈতিক মূল্যবোধ ও আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে সমন্বিত সেবা নিশ্চিত করতে হবে। পুনর্বাসন কার্যক্রম যত শক্তিশালী হবে, দেশের ভবিষ্যৎ তত সমৃদ্ধ হবে।
এ সময় তিনি কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেশাগত দক্ষতা, মানবিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
পরিদর্শন শেষে কেন্দ্রের সার্বিক কার্যক্রম, শিশুদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিশুদের মানসিক বিকাশ, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং পরিবারভিত্তিক পুনর্বাসন কার্যক্রম আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক তাপস ফলিয়া, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনিরা খাতুন ও সমন্বিত শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. কামাল উদ্দীন চৌধুরী।
মন্তব্য করুন