দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী নদীবন্দরের চিলমারী-রৌমারী নৌপথে চলাচলের জন্য কুঞ্জলতা নামে একটি ফেরি সংযুক্ত করা হয়েছে। আরিচা ঘাট থেকে আসা কুঞ্জলতা নামের ফেরিটি শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় চিলমারী নদীবন্দরে নোঙর করছে।
চিলমারী নদীবন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক (সিরাজগঞ্জ) মো. মাহফুজার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ মাসের ২০ সেপ্টেম্বর ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে।
এদিকে চিলমারী নদীবন্দর থেকে রৌমারী নদীপথে ফেরি চালুর অপেক্ষার প্রহর গুনছে লাখো মানুষ। ফেরিটি চালু হলে ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলা জেলা শহরের সঙ্গে দ্রুততম যোগাযোগের আওতায় আসছে।
ফেরিটি শুক্রবার সন্ধ্যায় চিলমারী নদীবন্দরে এসে পৌঁছানোর পর উৎসুক মানুষের ভিড় পড়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর তথ্যমতে, চিলমারী-রৌমারী নৌপথের দৈর্ঘ ২১ কিলোমিটার। তবে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এই পথের দৈর্ঘ্য ১৩ থেকে ১৪ কিলোমিটারে নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। নাব্যতা সংকট কাটিয়ে ফেরি সার্ভিস চালু রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া থাকবে বলে আশ্বাস দেন তারা।
ফেরি সার্ভিস চালু হলে চিলমারী-রৌমারী-রাজীবপুর নয়, কুড়িগ্রামের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হবে। যাতায়াত খরচও কমে যাবে। তাছাড়া এ অঞ্চলের মানুষের ব্যবসায়িক পরিধি ক্রমশ বাড়বে বলে ধারণা করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক (সিরাজগঞ্জ) মো. মাহফুজার রহমান বলেন, চিলমারী ও রৌমারী ঘাটের প্রস্তুতি শেষে কুঞ্জলতা নামে একটি ফেরি চিলমারী নদীবন্দরে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ মাসের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এদিন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. জাকির হোসেন এমপি প্রমুখ উপস্থিত থাকবেন।
মন্তব্য করুন