

ঈশ্বরদীর মুলাডুলি রেলস্টেশনে অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে দুটি আন্তঃনগর যাত্রীবাহী ট্রেন। একই লাইনে মুখোমুখি অবস্থায় চলে আসলেও গতি কম থাকায় এবং এক ট্রেনের চালকের সতর্কতায় কয়েক হাজার যাত্রী বড় বিপদ থেকে রক্ষা পান।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলরুটের মুলাডুলি স্টেশনের অদূরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
স্থানীয়রা জানান, ট্রেন দুটি হলো ঢাকা থেকে চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস এবং চিলাহাটি থেকে ঢাকাগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস। বিলম্বে পৌঁছানোর কারণে নীলসাগর এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ে লুপ লাইনে প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে চিলাহাটি এক্সপ্রেসও সামনের দিকে অগ্রসর হয় এবং দুই ট্রেনকে একই লাইনের কাছাকাছি অবস্থানে দেখা যায়। তবে গতি কম থাকায় যাত্রীরা বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ট্রেন কন্ট্রোল অফিস জানায়, বিষয়টি ‘সরাসরি মুখোমুখি সংঘর্ষের ঝুঁকি’ ছিল না। ঢাকা অভিমুখী চিলাহাটি এক্সপ্রেস বেলা ১১টা ২০ মিনিটে মুলাডুলি স্টেশন অতিক্রম করে। অন্যদিকে নীলসাগর এক্সপ্রেসের স্টেশনে থামার কথা থাকলেও কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় চিলাহাটি এক্সপ্রেস সামনে এগিয়ে যায়। পরে নীলসাগর এক্সপ্রেসকে নিরাপদে লুপ লাইনে নেওয়া হয়।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) হাসিনা খাতুন বলেন, মুলাডুলি স্টেশনে দুই ট্রেনের ক্রসিংয়ের কথা ছিল। নিয়ম অনুযায়ী নীলসাগর এক্সপ্রেস স্টেশনে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানোর কথা। চিলাহাটি এক্সপ্রেস প্ল্যাটফর্মে না দাঁড়িয়ে একটু এগিয়ে যায় বলেই সামান্য ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) লিয়াকত শরীফ খান বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও এটি প্রকৃতপক্ষে দুর্ঘটনার পরিস্থিতি তৈরি করেনি। একটি ট্রেন লুপ লাইনে ঢোকার কথা, অন্যটি মেইন লাইন দিয়ে অতিক্রম করবে—এটাই নিয়ম। নীলসাগর এক্সপ্রেস সামান্য বিলম্বে আসায় পরিস্থিতি দেখে মনে হয়েছিল দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি কাজ করছে। ট্রেনচালক সিগন্যাল অমান্য করেছিলেন কি না, তা তদন্তে বের হবে।
মন্তব্য করুন