

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে নুরুল আমিন (৬৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনটি বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে প্রবেশের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ধার করে চবি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুহূর্তে প্ল্যাটফর্মে থাকা শিক্ষার্থীরা দরজার দিকে ইশারা করে চিৎকার করতে থাকেন। তখন দেখা যায়, ওই ব্যক্তি ইতোমধ্যে ট্রেনের অর্ধেক অংশের নিচে চলে গেছেন, আর ট্রেন তখনও চলমান ছিল। তিনি মূলত ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের মাঝের সরু ফাঁকা জায়গায় আটকে পড়েন।
ট্রেন থামার পর উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তাকে বের করার চেষ্টা করেন। পরে কয়েকজন মিলে বগিটিকে সামান্য কাত করে দিলে তিনি নিচে পড়ে যান। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে চবি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।
জানা যায়, মৃত নুরুল আমিন বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার চার সন্তান রয়েছে। বিকেলে তিনি চৌধুরী হাট স্টেশন থেকে শাটল ট্রেনে করে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছানোর পর নামতে গিয়ে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন।
চবি সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন বলেন, ‘শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্টেশনসংলগ্ন এলাকায় ছেলেদের সঙ্গে থাকতেন। তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, দাফনের প্রস্তুতি চলছে।’
চবির চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. আবু তৈয়ব বলেন, ‘কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই ব্যক্তিকে মেডিকেলে নিয়ে এসেছিল। তবে মেডিকেলে আনার আগেই তিনি মারা যান। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত অবস্থায় পান।’
মন্তব্য করুন