

কক্সবাজারের বাতাসে আজ যেন আগেভাগেই জমে ছিল অস্বস্তি। সিরিজ জয়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও শেষ মুহূর্তে হোঁচট—বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ নারী দলের গল্পটা শেষ হলো এমনই হতাশায় ভরা এক বিকেলে। তৃতীয় ম্যাচ শেষে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা দলটি শেষ দুই ম্যাচের একটিতেও জয়ের দেখা পেল না। আজ পঞ্চম ও শেষ টি–টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের কাছে ৬ উইকেটে হার নিশ্চিত করল সিরিজ হারের বেদনাও।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই লড়াইটা হয়ে ওঠে একপেশে। কক্সবাজারের উইকেটে ব্যাটারদের ভরসা জোগাতে ব্যর্থ বাংলাদেশ মাত্র ৮৪ রানে গুটিয়ে যায়। পুরো টপ অর্ডার যেন আত্মসমর্পণ করেই আউট হয়ে ফিরল। ব্যতিক্রম কেবল ছয় নম্বরে নেমে ধৈর্য ধরে ২৭ রানের লড়াকু ইনিংস খেলা সাদিয়া আক্তার। এর বাইরে দুই অঙ্ক ছোঁয়া ব্যাটার বলতে ওপেনার সুমাইয়া আক্তার ও হাবিবা ইসলাম—দুজনেই করেছেন ৯ রান। বাকি ব্যাটিং লাইনে ছিল ছন্নছাড়া শট আর অনভিজ্ঞতার ছাপ।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় পাকিস্তান শুরুটা খারাপ করলেও (১৬ রানে ২ উইকেট) ম্যাচ হাতে তুলে নিতে বেশি সময় লাগেনি। ওপেনার কোমল খানের ২৫ রানের ইনিংস ছিল ভিত্তি, বাকিটা গড়ে দেন আকসা হাবিব (২১) ও ফিজ্জা ফিয়াজ (অপরাজিত ২১)। ১৭ ওভারেই ৪ উইকেট হারিয়ে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সফরকারীরা।
বারিরা সাইফের ঘূর্ণিতে (৩/১৬) ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া বাংলাদেশের ব্যাটিং অবশেষে ম্যাচসেরার পুরস্কারও তুলে দেয় পাকিস্তান শিবিরে।
তিন ম্যাচ শেষে এগিয়ে থেকেও সিরিজ হারা—এটা শুধু পরিসংখ্যান নয়, বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব–১৯ মেয়েদের জন্য এটা বড় শিক্ষা হয়ে থাকবে। শেষ মুহূর্তে চাপ সামলানোর অভাব, ব্যাটিং ব্যর্থতা আর ভুল সিদ্ধান্ত—সব মিলিয়ে সিরিজ জয় হাতছাড়া করল সাদিয়া ইসলামের দল।
মন্তব্য করুন