সাতক্ষীরার কলারোয়ায় দুপুরে বিয়ের পর রাতে এক নববধূর আত্মহত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৮ জুন) রাতে উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আত্মহত্যা করা ঊষা খাতুন (১৯) রঘুনাথপুর পূর্বপাড়া গ্রামের আমের আলী ও শাহানারার বড় মেয়ে। ঊষার স্বামী সুমন হোসেন (২৪) উপজেলার ঝিকরা গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ আলীর ছেলে।
সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে কলারোয়া থানার এসআই অনীল মুখার্জি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার দুপুরে উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আমির আলীর মেয়ে ঊষা খাতুনের সঙ্গে সুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সুমন তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ি রেখে নিজ বাড়িতে চলে যান। সন্ধ্যায় ঊষার সঙ্গে তার দাদির বচসা হয়। এরপর নিজ ঘরে গিয়ে ঊষা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ঊষার মা শাহানারা খাতুন বলেন, ‘মেয়ের পছন্দমতো ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সকালে খুব হাসিখুশি ছিল। কিন্তু কী কারণে যে গলায় ফাঁস দিয়েছে তা আমরা কেউ জানি না।’
কলারোয়া থানার ওসি মোহা. মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, রোববার রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আত্মহত্যার সঠিক কারণ ঊষার স্বজনরা বলতে পারছেন না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অসম্মতিতে বিয়ে হওয়ায় এমন কাজ করতে পারেন।
মন্তব্য করুন