ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে কুমিল্লার দেবিদ্বারে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন সিএনজি ও অটোরিকশা চালকরা। রোববার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে দেবিদ্বার-চান্দিনা সড়কে মোহনা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত সহকারি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের (সার্কেল) সামনে এ বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় সড়কে প্রায় দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, দীর্ঘ সময় অবরোধের কারণে সড়কের দুই পাশে যানজটে আটকা পড়েন শতশত যাত্রী। পরে সহকারী পুলিশ সুপার শাহ মোস্তফা তারেকুজ্জামান বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন চালকরা।
বিক্ষোভ ও অবরোধ চলাকালে চালকরা দেবিদ্বারে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, কারণে অকারণে মামলায় জর্জরিত আমরা। মাসিক টোকেন বাণিজ্য, জিবি, পুলিশ ডিউটি, এরপর ট্রাফিক পুলিশের নির্যাতনে অতিষ্ঠ আমরা। তাঁরা মহাসড়ক ছাড়াও ফাঁড়ি রোডে এসে বসে থাকে মামলা দেওয়ার জন্য।
রফিক নামের এক চালক বলেন, ধামতি থেকে অন্তঃসত্বা এক নারীকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলাম, চান্দিনা রোডের সার্কেল অফিসের সামনে এসে পৌছালে ট্রাফিকের এক পুলিশ ওই নারীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে আমার গাড়ি সার্কেল অফিসের ভিতর নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ৭ হাজার টাকার মামলা দেন।
সিএনজি চালক মোতাহের হোসেন ভূইয়া বলেন, গত মাসের ৮ তারিখ সার্জেন্ট ও টিআই আমাকে ধরে ৩ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আমি দিতে অস্বীকার জানালে তারা আমাকে ৬ হাজার টাকার মামলা দেয়। পরে আমি বাধ্য হয়ে ৩ হাজার টাকা দিয়ে ছুটে আসি। এছাড়াও প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে টোকেনের টাকা দিতে হয়, না দিলে মেইন সড়কে গাড়ি চালাতে দেয় না। হেলাল নামে ব্যক্তি মাসিক টোকেনের টাকা কালেকশান করে। আমরা নিরীহ দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ, আমাদের ওপর এত অত্যাচার কেন।
এ বিষয়ে সহকারি পুলিশ সুপার (দেবিদ্বার-বিপাড়া সার্কেল) শাহ মোস্তফা তারেকুজ্জামান বলেন, আমি চালক, সিএনজি মালিক , ইজারাদার ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছি। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরেও এসেছে। চালকদের সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ মাননীয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন