নারায়ণগঞ্জের চরকিশোরগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবি ঘটনায় নিখোঁজ পাঁচজনের মধ্যে জান্নাতুল মারওয়া (৬) ও সাব্বির হোসেন (৪২) নামে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ।
রোববার (৮ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দশআনি লঞ্চঘাট এলাকা থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান।
এর আগে শনিবার সকাল ৬টার দিকে মফিজুল ইসলামের স্ত্রী সুমনা আক্তারের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এ নিয়ে দুজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও তিনজন।
এদের মধ্যে রয়েছে মফিজুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতুল ফেদৌস (৩), তার ভায়রার ছেলে ইমাত হোসেন (২) ও মারওয়া (৬)। তাদের উদ্ধারে শুক্রবার রাত থেকে কাজ করছেন নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ উদ্ধারকারী দল।
জানা গেছে, জান্নাতুল মারওয়া (৬) গজারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ফুলদি এলাকার কাজী বুরহান উদ্দিনের মেয়ে। মারওয়া সম্পর্কে মফিজুলের চাচাতো বোন।
কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ি (বন্ধরন অঞ্চল) উপপরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান বলেন, রোববার ভোরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দশআনি লঞ্চঘাট এলাকা থেকে জান্নাতুল মারওয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং সকাল ১০টার দিকে মুন্সীগঞ্জ চরঝাপটা এলাকার থেকে সাব্বির হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তবে এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত বাল্কহেডটি শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে ক্ষুব্ধ পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী। এদিকে শুক্রবার রাত থেকে স্বজনদের হারিয়ে পাগলপ্রায় স্বজনরা। জীবিত না হলে অন্তত মরদেহর সন্ধানে মেঘনা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন স্বজনরা। আর ঘাতক বাল্কহেড চিহ্নিত করে তার মালিক ও চালককে দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির জোর দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।
মুফিজুল শুক্রবার দুপুরে শ্বশুরবাড়ি ও পরিবারের লোকজন নিয়ে গজারিয়া থেকে ঘুরতে বের হয় চরকিশোরগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকায়। সন্ধ্যা হলে পরিবারের লোকজন নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড ট্রলারে ওপর উঠিয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে ট্রলার ডুবে গেলে সবাই তলিয়ে যায়। এর মধ্যে ট্রলারচালকসহ ছয়জন সাঁতরে আশপাশের ট্রলারে ওঠে। আর বাকিরা পানিতে তলিয়ে যায়।
মন্তব্য করুন