‘জীবনে অসংখ্যবার ভোট দিয়েছি। কিন্তু কখনো এমন বিড়ম্বনায় পড়িনি। ভোট দিতে কোনটা থেকে কোনটাতে চাপব, সেটাই বুঝতে পারছিলাম না। আমার একটি ভোট দিতে যে সময় লেগেছে, এই সময়ে ব্যালট পেপারে চার থেকে পাঁচটি ভোট দেওয়া যেত। আমার ভোট কোথায় গিয়ে পড়ল, সেটা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছি কিনা, আমি সন্দিহান। ব্যালটে ভোট দেওয়াতেই অনেক শান্তি।’
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের উপশহর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে অভিযোগের সুরে কথাগুলো বলছিলেন ষাটোর্ধ্ব আশরাফ আলী।
এদিকে নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ডাঁশমারী কেন্দ্রের নারী ভোটার শেখ জলি বলেন, ইভিএম মেশিনের কী যেন সমস্যা হয়েছিল। এ জন্য বেশ কয়েক মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। লম্বা লাইনে দীর্ঘ সময় আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।
কেবল আলী আশরাফ কিংবা শেখ জলিই নয়, কালবেলার কাছে ইভিএমে ভোট গ্রহণে ধীরগতির কথা জানিয়েছেন বেশ কিছু ভোটার। তাদের অভিযোগ, কিছু কিছু কেন্দ্রে ইভিএমের ধীর গতির কারণে ভোট দিতে সমস্যা হচ্ছে। এতে তারা এক প্রকার ভোগান্তিতে পড়েছেন।
ইভিএম নিয়ে ভোটারদের অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে নৌকার মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ইভিএম সমস্যাকে নিয়ে আমার কাছে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে থেকে ফোন এসেছে। কিছু কিছু কেন্দ্রে নাকি ইভিএমে ভোট দিতে দেরি হচ্ছে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশন হয়তো অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। কোথাও কোনো ইভিএম মেশিনে সমস্যা দেখা দিলে সেটি চেঞ্জ করে দেওয়ার বিষয়টি হয়তো নির্বাচন কমিশনের আছে। আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ইভিএমের সমস্যা সমাধান হবে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘শুরুর দিকে কিছু কিছু কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন একটু স্লো কাজ করছিল। এখন আর তেমন কোনো সমস্যা নেই। ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করছে। অত্যন্ত শান্তি ও সুষ্ঠুভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা ভোট প্রদান করছেন।’
বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে ইভিএমের মাধ্যমে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে।
মন্তব্য করুন