স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাকালে বিএনপি মানুষদের পাশে না দাঁড়িয়ে টিকা নিয়ে দেশের মানুষদের কাছে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়েছে। কিন্তু মানুষ তাদের কথা না শুনে টিকা নিয়েছিলেন। সে জন্য করোনায় মৃত্যুর হার কম ছিল। টিকা নিয়ে দেশের মানুষ ভালো ছিল।
রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে মানিকগঞ্জে মেয়েদের জরায়ুমুখে ক্যান্সার প্রতিরোধী এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আয়োজিত জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষদের ভালোবাসলে স্বাস্থ্য বিষয় নিয়ে বিএনপি বিভ্রান্তিমূলক কথা ছড়াত না। বিএনপি টিকা নিয়ে দেশের মানুষদের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেয়। তবে এ দেশের মানুষ তাদের কথা বিশ্বাস করেনি। মানুষ বিভ্রান্ত হলে এই দেশে আরও অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করতেন।
তিনি বলেন, ৯ থেকে ১৪ বছরের সব মেয়েদের পর্যাক্রমে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ টিকা দেওয়া হবে। এ ছাড়াও পঞ্চম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির মেয়েদের এক ডোজ এই টিকা দেওয়া হবে। শুধু স্কুলে নয়, হাসপাতালে, ক্লিনিকে এবং যেখানে টিকাকেন্দ্র রয়েছে সেখানেই এই টিকা দেওয়া যাবে। মানিকগঞ্জে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭২ হাজার টিকা দেওয়া হবে এবং ঢাকা বিভাগে ২৩ লাখ টিকা দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এক কোটি ২৫ লাখের বেশি জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ টিকা দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে এই টিকা কর্যক্রম এক মাস চলবে। তবে টিকা সামনে আরও আসবে, তখন পর্যায়ক্রমে সারা দেশে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন। তিনি বিশেষ করে মা-বোনদের বেশি দেখেন। আজকে মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে বই বিতরণ, চাকরিতে মহিলাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে আজকে নারীরা কাজ করছেন। দেশের উন্নয়নের নারীদের ভূমিকা অনেক। যা আগে ছিল না, এটা বুঝতে হবে। এ বছর এমবিবিএসে ৭০ ভাগ মেয়েরা ভর্তি হয়েছে, তারা ডাক্তার হবে। আমরা প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার ডাক্তার নিয়েছি, সেখানেও ৭০ শতাংশ মেয়েরা উত্তীর্ণ হয়েছে। একেই বলে নারীর ক্ষমতায়ন, যা শেখ হাসিনা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, করোনাকালে বিএনপি মানুষদের পাশে না দাঁড়িয়ে টিকা নিয়ে দেশের মানুষের কাছে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিমূলক কথা ছড়িয়েছে। কিন্তু মানুষ তাদের কথা না শুনে টিকা নিয়েছিলেন। সে জন্য করোনায় মৃত্যুর হার কম ছিল। টিকা নিয়ে দেশের মানুষ ভালো ছিল।
এ সময় মেয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, মেয়েদের বলতে চাই, কারা এই টিকার ব্যবস্থা করছে, কারা এই টিকা বিনামূল্যে দিচ্ছে, এটি জানতে হবে। তোমাদের মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন যারা ভোটার রয়েছে, তাদের সামনের নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ভোট দিতে বলবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের উপরে উঠার জন্য সবধরনের ব্যবস্থা করেছেন। সে জন্য আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে হবে, নৌকায় ভোট দিতে হবে। দ্বিধা করলে চলবে না, জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। এই দেশ স্বাধীন করেছে আওয়ামী লীগ। কাজেই শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, সিভিল সার্জন মোয়াজ্জেম আল খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মহীউদ্দিন, পৌর মেয়র মো. রমজান আলী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জ্যোতিশ্বর পালসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন