নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, আগামী ৪ নভেম্বর শাপলা চত্বরে ইতিহাসের সর্ববৃহৎ সমাবেশ হবে। এদিন বাংলাদেশের মানুষ জাতির পিতার মেয়েকে কতটা ভালোবাসে সেটা প্রমাণ করতে হবে। ৪ তারিখ যত ট্রেনের ব্যবস্থা করা যায় করবেন। আমরা ট্রেনে করে ঢাকা যাব। প্রয়োজনে অতিরিক্ত বগি লাগিয়ে দিবেন। আমরা সিদ্ধিরগঞ্জের লোকদেরও সঙ্গে নিয়ে ট্রেনে যাব। দরকার হলে স্পেশাল ট্রেনও এখানে থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসনের সার্কিট হাউসে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, দেশে এখনও জামায়াত কথা বলে বিএনপির কারণে। লন্ডনে যে খুনি বসে আছে তাকে জামায়াত পরিচালনা করছে। কারণ তারা জানে নির্বাচন হলে তারা ফেল করবে। ওরা চায় দেশে একটা অরাজগতা হোক। এর পেছনে পৃথিবীর অনেক বড় বড় রাষ্ট্র কাজ করছে। ওরা বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য এসব করছে না। এটা করছে ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে। আমাদের জিডিপি এখন চীনের ওপরে।
তিনি বলেন, রাজনীতি একটা কৌশল। এই কৌশল আমরা কীভাবে নেব তা ঠিক করতে হবে। ২৮ তারিখের কর্মসূচিটা ক্রিটিক্যাল। আমাদের বুঝে শুনে পা ফেলতে হবে। আমরা কারও গণতান্ত্রিক অবস্থানে বাধা দেব না। এটা নেত্রীর নির্দেশ। আর ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের মানুষ জাতির পিতার মেয়েকে কতটা ভালোবাসে সেটা প্রমাণ করতে হবে। এটা যখন শাপলা চত্বরে হবে আমাদের বিশ্বাস সেদিন সেখানে ইতিহাসের সর্ববৃহৎ সমাবেশটা হবে।
শামীম ওসমান আরও বলেন, এক বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বসে আছে। আমি কোনো থানা কমিটি দেখতেও যাইনি। ফতুল্লায়ও যাইনি, কারণ সব তো আমারই লোক। আমার স্বেচ্ছাসেবক লীগ ভেঙে দেওয়া হলো। কেন আমি জানি না। আমাদের ত্যাগী লোক মূল্যায়ন করা দরকার। আমরা মোশতাক চাই না। বঙ্গবন্ধুর বাবার মৃত্যুর পর মোশতাক কবরে নেমে এমন কান্না করেছিল যে বঙ্গবন্ধু নিজে কান্না থামিয়ে তাকে উঠিয়েছিল। এরা অনেক নাটকবাজ হয়। আড়াইহাজার, রূপগঞ্জে ট্রান্সপোর্টের একটু সমস্যা হতে পারে। ৪ তারিখ যত ট্রেনের ব্যবস্থা করা যায় করবেন। আমরা ট্রেনে করে ঢাকা যাব। প্রয়োজনে অতিরিক্ত বগি লাগিয়ে দিবেন। আমরা সিদ্ধিরগঞ্জের লোকদেরও সাথে নিয়ে ট্রেনে যাবো। দরকার হলে স্পেশাল ট্রেনও এখানে থাকবে।
তিনি সভায় বলেন, আমরা টার্গেট না। টার্গেট একটাই সেটা হলো শেখ হাসিনা। শুধু তিনি টার্গেট। তাকে টলাতে পারছে না কারণ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার একটা তফাৎ আছে। বঙ্গবন্ধু সবাইকে বিশ্বাস করতেন। জীবন দিয়ে তাকে তার মূল্য দিতে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে বিশ্বাস করেন না।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন