গাজীপুরের কোনাবাড়ি থানার দেওয়ালিয়াবাড়ি কাশিমপুর কেন্দীয় কারাগার রোড থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত নব্য জঙ্গি সংগঠন ইমাম মাহমদের কাফেলার সক্রিয় সদস্য মো. মাহতাব ইসলাম ওরফে আব্দুস সাত্তারকে (৩২) আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন মহানগর পুলিশ উপকমিশনার মো. ইব্রাহিম খান।
আটক মাহতাব ইসলাম ওরফে আব্দুস সাত্তার পাবনা জেলার কৈইজরী শিপর গ্রামের মো. হাবিবর মণ্ডলের ছেলে।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোনাবাড়ি থানা পুলিশ জানতে পারে নিষিদ্ধ ঘোষিত নব্য জঙ্গি সংগঠন ইমাম মাহমদের কাফেলার এক সক্রিয় সদস্য জেলখানা রোড এলাকায় অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার রোডে অভিযান চালিয়ে মো. মাহতাব ইসলাম ওরফে আব্দুস সাত্তারকে আটক করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ২০২৩ সালে ইমাম মাহমুদ নামের এক ব্যক্তি মাহতাব ইসলাম ওরফে আব্দুস সাত্তারের পাশের গ্রাম গঙ্গারামপুর এলাকায় তালিমুল ইসলামিয়া একাডেমি হাফিজিয়া ও ইবতেদায়ি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসায় তার ছেলে সালমান ওরফে হুজাইফাকে ভর্তি করতে গিয়ে নব্য জঙ্গি ইমাম মাহমুদের সাথে পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকে ইমাম মাহমুদ তাকে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে উপদেশ দেয়।
মাহমুদ তাকে আরও জানায়, ২০২৩ সাল হইতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত পৃথিবীতে ব্যাপক দুর্ভিক্ষ হবে এবং নব্য জঙ্গি ইমাম মাহমুদের অনুসারী ব্যতিত সব লোক মারা যাবে। সেই ধারণা বিশ্বাস করে আব্দুস সাত্তার ও তার এলাকার বেশ কিছু লোক নব্য জঙ্গি সংগঠন ইমাম মাহমুদের কাফেলায় যোগ দেয়। পরবর্তীতে নব্য জঙ্গি ইমাম মাহমুদের সাথে মাহতাব ইসলাম ওরফে আব্দস সাত্তারের স্ত্রী শাপলা খাতুন (২৬), শ্যালক আল মামুন ইসলাম ওরফে বেলাল (২০) সহ ২৮ জন সদস্য মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার জুগিরটিলা পাহাড়ে চলে যায়। সেখানে তাদের জঙ্গি সংগঠনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। পরে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে ২৭ জন নব্য জঙ্গিকে আটক করে। সেখান থেকে নব্য জঙ্গি সদস্য মাহতাব ইসলাম ওরফে আব্দুস সাত্তার (৩২) কৌশলে পালিয়ে যায় বলে স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানায়, তার স্ত্রী শাপলা ও শ্যালক আল মামুন ইসলাম ওরফে বেলাল বর্তমানে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে।
মন্তব্য করুন