রাজশাহীর দুর্গাপুরে পুকুর খনন বাবদ এক মাছচাষির কাছ থেকে ইউএনওর কথিত পিএস রাকিবুল ইসলামের নামে ১ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত ১০ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী মাছচাষি মো. আবুল বাশার।
অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলাম উপজেলার দেবীপুর গ্রামের মৃত. আব্দুল আজিজের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জনা গেছে, উপজেলার বখতিয়ারপুর গ্রামে মাছচাষের জন্য পুরাতন পুকুর সংস্কারের অনুমতি চেয়ে গত ৭ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন সুরত আলী সরদার। সে সময় দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন মো. সোহেল রানা।
পরে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মধ্য রাতে সেই পুকুর পাড়ে গিয়ে ইউএনওর নাম ভাঙিয়ে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে রাকিবুল। তার দাবিকৃত অর্থ দিতে না চাইলে পুকুর খননের কাজে ব্যবহৃত (এস্কেভেটর) গাড়ি ভেঙে দেওয়া হবে বলে পুকুর সংস্কারে বাধা দিয়ে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে রাকিবুল ইসলাম। পরে ভয় পেয়ে ওই রাতেই ভুক্তভোগীর ছোট ভাই রাকিবুলকে ১ লাখ টাকা দিয়ে দেয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইউএনও সোহেল রানার নাম করে এর আগেও উপজেলার মাছচাষিদের কাছে অর্থ দাবি করতেন অভিযুক্ত রাকিবুল এবং অর্থের বিনিময়ে নানা সুবিধা দেওয়ার কথা বলে একাধিক ব্যক্তির কাছে মোটা অঙ্কের অর্থের লেনদেন করতেন তিনি।
নাম প্রাকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, মাছচাষ করার জন্য পুকুর খনন ও সংস্কারের অনুমতি চেয়ে যে কোনো আবেদন ইউএনও অফিসে জমা দিলে সেখানেই কথিত রাকিব ছুটে গিয়ে চাঁদা দাবি করতেন। অনেকেই সে সময় ভয়ে মুখ খোলেননি কিন্তু ইউএনও সোহেল রানা চলে যাবার পরে রাকিবের অপকর্মের বিষয়ে অনেকেই এখন অভিযোগ করেছে।
এর আগে ইউএনওর কথিত পিএস রাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে মুঠোফোনে ঘুষ দাবির একটি অডিও ভাইরাল হয় ও এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে।
অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলাম বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি কোনো ঘুষ গ্রহণ করিনি।
জানতে চাইলে মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে। তদন্তে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন