ঝালকাঠি জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক ওরফে সাজুর শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকায় বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে এই ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা হয়নি।
সাবেক ছাত্রদল নেতা সাজুর পরিবারের স্বজনদের অভিযোগ, শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকার আলী হায়দার মিয়ার কাছ থেকে ৩ শতাংশ জমি কেনেন তারা। ওই জমিতে তাদের বসতভিটা। ওই জমিটি কিনতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান একাধিকবার এনামুল হকের কাছে প্রস্তাব দেন। কিন্তু তারা জমিটি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় বেশ কয়েকবার জমিটি দখলের চেষ্টা করেন সৈয়দ হাদিসুর রহমান। বিষয়টি টের পেয়ে গত ১৯ অক্টোবর আদালত থেকে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আনা হয়। কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আজ দুপুরে হাদিসুর লোকজন নিয়ে বসতঘরে হামলা করেন। এ সময় বসতঘরের অধিকাংশ জিনিসপত্র ভেঙে ফেলা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, দুপুর দেড়টার দিকে লাঠিসোঁটা ও রড নিয়ে ২০-২৫ জনের একদল যুবক এনামুল হকের বসতঘরে ঢুকে ভাঙচুর করে। বসবাস এর স্থানে একটি সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলে। ওই যুবকদের তাণ্ডবে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় প্রতিবেশী মাহমুদ বলেন, হাদিসুর কয়েক দিন আগে তার শাশুড়ির জমি দখল করেন। এর আগে এক মুক্তিযোদ্ধার জমি দখল করেছেন। এভাবে একের পর এক জমি দখল করে যাচ্ছেন। তবু তাকে কেউ কিছু বলছে না। এ ব্যাপারে ঝালকাঠির সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
তবে অভিযোগের বিষয়ে সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন বসতঘর ভাঙচুরের অভিযোগ সঠিক নয়। তার ক্রয় করা জমিতে সাবেক ছাত্রদল নেতা এনামুল হক সাজু ও তার পরিবার অবৈধভাবে বসবাস করছে।
ছাত্রদল নেতা এনামুল হক বলেন, ‘আমরা ডাক্তারপট্টির বসতঘরে প্রায় ৪০ বছর ধরে বসবাস করছি। আলী হায়দার মিয়ার কাছ থেকে ৩ শতাংশ জমি কিনে ভোগদখলে আছি। সৈয়দ হাদিসুর ওই জমি আমাদের কাছ থেকে কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমরা বিক্রি না করায় ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে আমাদের বসতঘরে ভাঙচুর করেছে। আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।’
এখনো ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, জমি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। হামলা-ভাঙচুরের পর পুলিশ উভয়পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেছে। ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন