সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঐতিহাসিক নওগাঁ দিবস আজ। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে শনিবার (১১ নভেম্বর) পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে ১৯৭১ এর যুদ্ধকালীন এই দিনে মুক্তিযুদ্ধে উত্তরবঙ্গের বেসরকারি সাব-সেক্টর কমান্ড পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরের মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে তাড়াশ উপজেলাকে হানাদারমুক্ত করার লক্ষ্যে ঐতিহাসিক নওগাঁ বাজার এলাকায় পলাশডাঙ্গা যুবশিবির নামে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সংগঠন গড়ে তোলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মির্জা। এতে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর ও বগুড়া অঞ্চলের প্রায় ৭৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মির্জার নেতৃত্বে পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবির সংগঠনে যোগ দেন।
স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রর তথ্য অনুযায়ী, ওই যুদ্ধে পাকবাহিনীর ১৩০ জন সৈন্য মারা যায়। পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরের সর্বাধিনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আব্দুল লতিফ মির্জা ও সহসর্বাধিনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত ম ম আমজাদ হোসেন মিলনের নেতৃত্বে চলনবিলের প্রত্যান্ত এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হয়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে চরম প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
নওগাঁর যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা অভিযানে ১৩০ জন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্য মারা যায়। তবে অতান্ত কৌশলী হওয়ায় নওগাঁর যুদ্ধে পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরের কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা হতাহত হননি। পাশাপাশি নওগাঁর যুদ্ধ থেকেই পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত ম ম আমজাদ হোসেন মিলনের প্রচেষ্টায় ঐতিহাসিক নওগাঁ বাজার এলাকায় যুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ওই স্থানে নির্মিত হয়েছে নওগাঁ যুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন, যা স্বাধীনতার রক্তিম সূর্যকে বুকে ধারণ করে স্বগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
মন্তব্য করুন