কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ছুটি নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমানোর অভিযোগ 

চৈতন্যগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি : কালবেলা
চৈতন্যগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি : কালবেলা

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা অনুমতি না নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। এমন অভিযোগ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৈতন্যগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মুর্শেদা খাতুনের বিরুদ্ধে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরেন্দ্র কুমার সিংহ। তবে ওই শিক্ষিকা কোন দেশে অবস্থান করছেন তা তিনি জানেন না।

চৈতন্যগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে জানা যায়, অনেকটা গোপনে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন শিক্ষিকা মুর্শেদা খাতুন।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, স্কুলের চার শিক্ষকের মধ্যে তিনজন রয়েছেন। সর্বমোট ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা ১১০ জন। প্রতিদিন শতভাগ ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিত থাকে এই স্কুলে। এর মধ্যে মুর্শেদা খাতুন নামের ওই সহকারী শিক্ষক গত ১২ অক্টোবর থেকে অনুপস্থিত রয়েছেন। এর পাঁচদিন আগেই তিনি দুই মাস চিকিৎসাজনিত ছুটি কাটিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার কয়েকজন সহকারী শিক্ষক বলেন, মুর্শেদা খাতুন চিকিৎসার জন্য দুই মাস ছুটি কাটান। আসলে এই দুই মাস তিনি বিভিন্নভাবে দেশের বাইরে যাওয়ার প্রসেসিং করেন। হঠাৎ এভাবে চলে যাওয়াটা মোটেও ঠিক হয়নি। সামনেই বাচ্চাদের বার্ষিক পরীক্ষা। বাচ্চাদের কথা ও দেশের কথা চিন্তা না করে এভাবে নিজের স্বার্থের জন্য চলে গেলেন তিনি।

চৈতন্যগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরেন্দ্র কুমার সিংহ বলেন, মুর্শেদা খাতুন জানেন আমি অসুস্থ এবং ছুটিতে আছি। বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে অন্তত আমায় তিনি জানাতে পারতেন। আমি অফিসিয়ালি তাকে সহযোগিতা করতাম। কিন্তু কোনোভাবেই ওনাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে লিখিতভাবে এ বিষয়ে অবগত করেছি। স্কুল সভাপতিকেও বিষয়টি জানিয়েছি। এখন তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজিজুর রহমান আলাল বলেন, প্রধান শিক্ষক স্যারের মাধ্যমে জানতে পারলাম তিনি দেশের বাইরে আছেন। আমি জানিনা মুর্শেদা খাতুন আপা কোন দেশে আছেন। যদি বিদেশ চলে যান তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, সহকারী শিক্ষক মুর্শেদা খাতুন ৬০ কর্মদিবসের জন্য চিকিৎসাজনিত ছুটিতে ছিলেন। ছুটি কাটিয়ে স্কুলে আসলেও হঠাৎ তিনি কোথায় গেছেন এখনও জানি না। তবে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি নেই। প্রধান শিক্ষক বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। আমি অফিসিয়ালি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেব। তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. খোরশেদ আলম জানান, বিষয়টা আমার জানা ছিল না। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমি উপজেলা প্রাথমিক অফিসারের কাছ থেকে খবর নিচ্ছি। সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযুক্ত শিক্ষিকা মুর্শেদা খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নিজ সন্তানকে কোলে নিতে আদালত প্রাঙ্গণে বাবার কান্না

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় কাজিকি, সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাখ লাখ মানুষকে

সরকারি নিয়োগ নিয়ে জরুরি নির্দেশনা 

প্রাণ ফিরছে সাদাপাথরে, বাড়ছে পর্যটকের ভিড়

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ১১ দেশের

নির্বাচনে নয়, দায়িত্বে থাকতে চান বিসিবি সভাপতি বুলবুল

ভিকারুননিসা-হবিগঞ্জের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের ক্ষোভ প্রকাশ

সিলেটে কুরিয়ার ভ্যানে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬

ফেসবুকে প্রেম, বিয়ে করতে কুষ্টিয়ায় চীনা যুবক

গুণী অভিনেত্রী জাহানারা ভূঁইয়ার ইন্তেকাল

১০

ইতিহাস আমাদের বিচার করবে : মুসলিম দেশগুলোর উদ্দেশে ইরান

১১

‘ক্যানসারে আক্রান্ত তৌহিদ আফ্রিদি’

১২

ফজলুর রহমান চাইলেন ৭ দিন, বিএনপি দিল ২৪ ঘণ্টা

১৩

বাস-প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৪

১৪

ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা

১৫

চিকুনগুনিয়া টিকার লাইসেন্স স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

১৬

সারা দেশে একযোগে ১৮৯ বিচারককে বদলি

১৭

জেলা-উপজেলায় আনসার বাহিনীর নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শুরু

১৮

ওজন কমাতে ৭ প্রচলিত ধারণা ভুলে গেলেই ফল আসবে আরও সহজে

১৯

হিজাববিদ্বেষী শিক্ষিকার শাস্তি চাইল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস 

২০
X