বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে মোংলা উপকূলীয় অঞ্চলে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বন্দরে অবস্থানরত জাহাজের পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন। পৌর শহরের অধিকাংশ দোকানপাটই বন্ধ রয়েছে।
মোংলা বন্দরের হারবার বিভাগ জানিয়েছে, বহিনোঙরে ১২টি বাণিজ্যিক জাহাজ রয়েছে। আরও একটি জাহাজ আজ বন্দরে ভিড়ার কথা রয়েছে। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কোনো জাহাজ আজ বন্দর ত্যাগ করবে না।
মোংলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে ঘূর্ণিঝড়টি মোংলা বন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি ক্রমে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে আগ্রসর হয়ে দুপুরে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এতে মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে চলতি মাসের শুরুতেই সুন্দরবনের দুবলার চরে শুরু হয়েছে শুঁটকি মৌসুম। বিভিন্ন চরে এ মৌসুমের প্রথম দফায় আহরিত মাছও শুকানোর কাজ চলছিল। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সেসব শুকনো, আধা শুকনো ও কাঁচা মাছের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কার দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সাগর পাড়ের দুবলার চরের হাজারো জেলে-মহাজন।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলে পল্লী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ মজুমদার মোবাইল ফোনে কালবেলাকে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে দুবলারচর সংলগ্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাই শুঁটকির ক্ষতির পাশাপাশি সাগর উত্তাল থাকায় জেলেদের মাছ ধরাও বন্ধ করে দিয়েছে জেলেরা। মৌসুমের শুরুতেই দুর্যোগের কবলে পড়ায় আর্থিক ক্ষতিতে পড়বেন জেলেরা।
মন্তব্য করুন