বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২
গলাচিপা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নিজ উদ্যোগে ৭০ বছর ধরে গাছ লাগাচ্ছেন সিরাজুল

বৃক্ষপ্রেমিক সিরাজুল ইসলাম। ছবি : কালবেলা
বৃক্ষপ্রেমিক সিরাজুল ইসলাম। ছবি : কালবেলা

গাছ লাগানো ও পরিচর্যা করাই যার নেশা। নিজের বাড়ি তো বটেই এলাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি খোলা জায়গায় গাছ লাগিয়ে বেড়ান তিনি। নিজের পকেটের টাকায় গাছ লাগানোই তার আনন্দ। সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে গাছ লাগিয়ে প্রায় ৭০ বছর পার করেছেন গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব আটখালী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম (৮২)।

গ্রামে তিনি বৃক্ষপ্রেমিক নামে পরিচিত। এ ৭০ বছরে ৫০ হাজার গাছ রোপণ করেছেন তিনি। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা ১২ মাস নিজের টাকা খরচ করে এলাকায় এলাকায় গাছ লাগান এবং মানুষকে গাছ লাগানোর জন্য ও গাছের পরিচর্যা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।

পটুয়াখালী শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে ডাকুয়া গ্রামের টিনশেডের ঘরে বসে কথা হয় সিরাজুলের সঙ্গে। পরে নিজেই গ্রাম ঘুরে ঘুরে দেখান তার লাগানো গাছগুলো। পরম মমতায় গাছগুলো বেড়ে উঠছে। কোনো গাছ ৫০ বছরের পুরোনো। নিজের সন্তানের মতোই সযত্নে প্রতিপালন করছেন এসব গাছ।

তিনি জানান, বাবা আলতাফ হোসেন হাওলাদারের সাত ছেলের মধ্যে তিনি সবার ছোট। ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে কামিল (এমএ) পাস করেন ১৯৮৬ সালে। গলাচিপা শহর ও নিজ গ্রামের কয়েকটি মসজিদে ইমামতির চাকরি করেছেন।

ছোটবেলা থেকেই গাছ লাগানোর প্রতি ঝোঁক ছিল উল্লেখ করে সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ‘গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। ছায়া দেয়। ফল দেয়। গাছের ছায়ায় ক্লান্ত পথিক বিশ্রাম নেন। গাছের পাতা মাটিতে পচে জৈব সার হয়।’

তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ চারা আমি নিজের বাড়িতে তৈরি করি। আবার কিছু বাজার থেকে কেনেন। মূলত বর্ষায় গাছ লাগাই। বাকি সময় গাছের পরিচর্যা করি।’

তার রোপণ করা গাছের মধ্যে আছে—সুপারি, নারিকেল, পেয়ারা, জাম্বুরা, গাব, তাল, মেহগনি, রেইনট্রি, সুন্দরী ইত্যাদি।

প্রতিবেশীরা জানান, সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার সরকারি রাস্তার দুই পাশে ও অন্যের জমিতেও গাছ লাগান। নিজের বাড়ি, গ্রামের পতিত জায়গা, সরকারি রাস্তার দুই পাশসহ সব সর্বত্রই সিরাজুল ইসলাম হাওলাদারের লাগানো গাছ চোখে পড়ে। গাছ লাগানো যেন তার নেশা ও পেশা।

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, ‘সিরাজুল ইসলাম হাওলাদারের গাছ লাগানোর অভ্যাস আমাকে মুগ্ধ করেছে। তার এ কাজ প্রশংসার দাবিদার।’

তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে সব রকম সাহায্য সহযোগিতা করব।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দুই শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের ঘটনায় আহমাদুল্লাহর উদ্বেগ

সরকারি কর্মচারীরা দাফনের জন্য পাবেন টাকা

দেড় যুগেও নির্মাণ হয়নি জহির রায়হান মিলনায়তন

দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

৫ অভ্যাসে বার্ধক্যেও ভালো থাকবে হৎপিণ্ড

অনশন প্রত্যাহার করল বেরোবি শিক্ষার্থীরা

‘ভুল চিকিৎসায়’ একদিনে দুই শিশুর মৃত্যু

সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর

কাভার্ডভ্যানের চাপায় মা-মেয়ের মৃত্যু

মাস্ক পরে হাসপাতালে দীপু মনি

১০

ছাত্র সংসদের দাবিতে ‘আমরণ অনশন’ ঘিরে বিভক্ত বেরোবির শিক্ষার্থীরা

১১

বন্ধুত্ব চাইলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করুন : লায়ন ফারুক

১২

গাজা সীমান্তে ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করল মিসর

১৩

জাজিরা হাসপাতালে দুদকের অভিযান, অনিয়মে জর্জরিত স্বাস্থ্যসেবা

১৪

ডেজার সভাপতি প্রকৌশলী রুহুল আলম, সম্পাদক প্রকৌশলী চুন্নু

১৫

নানা আয়োজনে গাকৃবিতে মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন

১৬

বিপিএলের ফিক্সিং ইস্যুতে যা বললেন তামিম

১৭

রাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু বুধবার

১৮

এবার সিলেটের উৎমাছড়া থেকে ২ লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ

১৯

জমি রেকর্ড সংশোধনের মামলা দায়েরের শেষ সময় সেপ্টেম্বরে

২০
X