সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে গ্যাসের চুলা ও রাইজারের আশপাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে গ্যাসের দুর্গন্ধ। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নগরবাসী। গ্যাসের উৎকট গন্ধে দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
তবে বাতাসে ছড়িয়ে পড়া গ্যাসের গন্ধে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেল থেকে সিলেট নগরের মিরবক্সটুলা, চৌহাট্টা, মিরের ময়দান, সুবিদবাজার, হাউজিং স্টেট, নয়াসড়ক, কুমারপাড়া, মদিনা মার্কেট, আখালিয়া, রিকাবিবাজার, শেখঘাট, উপশহর, টিলাগড় ও শিবগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকেল থেকে হঠাৎ করে বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকায় গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পরে। কেউ কেউ বলছেন কোথাও কোনো লিকেজ রয়েছে যার ফলে এমনটা হচ্ছে। রাস্তার পাশে যেখানে গ্যাসের সরবরাহ লাইন, রাইজার রয়েছে সেসব এলাকায় গ্যাসের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে মানুষের মনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
নগরের মিরবক্সটুলা এলাকার বাসিন্দা জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আল আজাদ জানান, কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ বাসায় গ্যাসের উৎকট গন্ধ পাই। পরে চুলা পরীক্ষা করে দেখি গ্যাসের লিকেজও নেই। কিন্তু দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।
পাঠানটুলা এলাকার শিহাব আহমদ বলেন, সোমবার বিকেল থেকে বাসার সামনে গ্যাসের তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ পাচ্ছি। কোথাও গ্যাস লাইন লিকেজ হয়েছে, এমন সন্দেহ থেকে বাসার আশপাশের গ্যাস সঞ্চালন লাইন পরীক্ষা করে দেখি, কিন্তু কোনো লিকেজ পাইনি। গ্যাস অফিসে কল দিয়েছি। তারা বিষয়টি দেখবেন বলেছেন।
আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রেজা রুবেল জানান, বাসার বাইরে প্রচণ্ড পরিমাণ গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, নগরীর অনেক জায়গা এ ধরনের গন্ধ বের হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গ্যাস লিকেজ থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
জানা গেছে, জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ নগরে গ্যাসের সরবরাহ সঠিক রাখতে লিকেজ শনাক্ত করছে। সে জন্য একপ্রকার স্প্রে গ্যাসের ব্যবহার করা হয়েছে। যার গন্ধ গ্যাসের মতোই। এই গ্যাসের কাজ হচ্ছে লাইনের যেসব স্থানে ছিদ্র রয়েছে সেই স্থানগুলো শনাক্ত করা।
জালালাবাদ গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান মাহমুদ জানান, এটা একটা স্বাভাবিক বিষয়। এখানে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ গ্যাসের মধ্যে যে গন্ধ দেওয়া হয়, সেটা নিরাপত্তার জন্যই দেওয়া হয়। এতে লিকেজ হলে গন্ধ বের হয়।
তিনি আরও জানান, সোমবার বিকেলের দিকে নগরের বেশ কয়েকটি এলাকায় গ্যাস লাইন লিকেজ আছে কি না সেটা জানার জন্য গ্যাসের মধ্যে গন্ধ দেওয়া হয়। যাতে এই গ্যাসের গন্ধ পেয়ে মানুষ বিষয়টি জালালাবাদ কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারে। গন্ধের বিষয়ে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষকে কেউ অবহিত করলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে অনুসন্ধান করে লিকেজ বন্ধ করা হচ্ছে। এ ছাড়া আমরাও যেখানে গন্ধ পাচ্ছি সেখানে লিকেজ শনাক্ত করছি।
মন্তব্য করুন