কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) উপজেলার সিদলাই ইউনিয়নের বেড়াখোলার ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স. ম. আজহারুল ইসলাম।
এ ছাড়া বাল্যবিবাহের আয়োজন করার অপরাধে কনের অভিভাবককে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা লুৎফা ইয়াসমিন ও থানা পুলিশের একটি দল সেখানে উপস্থিত ছিল।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স. ম. আজহারুল ইসলাম বলেন, সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে বিদেশে থাকা ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল। অভিভাবকরা মনে করেন, মেয়েকে বিয়ে দিয়ে কোনো রকমে পার করে দিতে পারলেই দায়িত্ব শেষ। তাই কেবল বিয়ে বন্ধই না, মোবাইল কোর্টে ওই সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবককে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে অপ্রাপ্ত বয়সে আবারও মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন