গত তিন দিন ধরে অজ্ঞাত রোগে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে এক খামারির ২৩টিসহ মোট ২৫টি গরু-মহিষের মৃত্যু হয়েছে। মুখ দিয়ে লালা আসার কিছুক্ষণের মধ্যে মাটিতে পড়ে গিয়ে একের পর এক গরু মারা যাচ্ছে। হঠাৎ করে অজ্ঞাত রোগে একের পর এক গরুর মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন খামারিরা। ঘটনার পর থেকে খামারিদের মাঝে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় রোববার (১০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের প্রাণনগর ঘোষপাড়ার বাসিন্দা মৃত গীরেন্দ্রনাথ ঘোষের ছেলে গোপাল ঘোষের ২৩টি গরু এবং গোবিন্দ ঘোষের ১টি গরু ও ১টি মহিষের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও আশপাশের বেশকিছু গরু আক্রান্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারি গোপাল ঘোষ জানান, তার গরুর খামারে ১৩০টি বিভিন্ন প্রজাতির গরু রয়েছে। বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে খামারের বেশ কয়েকটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর রাত থেকে গরুর মুখ দিয়ে লালা পড়তে শুরু করে। কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই একের পর এক গরু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছে এখনো নিশ্চিত হতে পারছি না। রোববার পর্যন্ত খামারের ২৩টি গরুর মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে গোবিন্দ ঘোষ জানান, একইভাবে তার খামারের ১টি গরু এবং ১টি মহিষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তারসহ প্রতিবেশীদের বেশ কয়েকটি গরু আক্রান্ত হয়েছে। ঘটনার পর থেকে গরু নিয়ে এলাকার মানুষ দিশেহারা এবং খামারিদের মাঝ আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে সংবাদ পেয়ে শনিবার রাত থেকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. শামীমা বেগমের নেতৃত্বে একটি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে বলে জানিছেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওসমান গণি। তিনি বলেন, শনিবার রাতে সংবাদ পেয়ে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মৃত গরুর স্যাম্পল সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সকাল থেকে নিজেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন তিনি। এটি ফুড অ্যান্ড মাউথ রোগের লক্ষণ বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এবং জেলা থেকে একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন