হেমন্তের শেষ দিকে এসে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে চারদিক। উত্তরের হিমেল বাতাসে রাতে বাড়ছে শীতের অনুভূতি। ঘন কুয়াশার কারণে সকালে সড়কে চলা যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
ঘন কুয়াশার সাথে উত্তরে হাওয়ায় মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝে মাঝে বৃষ্টির মতো চলে কুয়াশাপাত। সেই সাথে উত্তরে হিমালয় থেকে আসা ঠান্ডা বাতাসে হাড় হিম করা শীত অনুভূত হচ্ছে। বাইরে বের হলেই শীতের কাপড় পড়ে বের হতে হচ্ছে। তারপরও অনুভূত হচ্ছে শীত।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
সন্ধ্যার পরপরই ঠান্ডা বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। রাত ৯টার পরই হাট বাজার ও রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে আসে। শীতের প্রকোপ বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন এ জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র না থাকায় চরম দুর্ভোগে কাটাতে হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে শীতের প্রকোপ বাড়ায় হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সোমবার সকালে থেকে বিভিন্ন এলাকা দেখা যায়, রাতভর বৃষ্টির মতো টিপটিপ করে ঝরা কুয়াশায় ভিজে গেছে পথঘাট। ফসলের খেত আর ঘাসের ওপর থেকে ঝরছে শিশিরবিন্দু। ঘন কুয়াশার কারণে সকালবেলা সড়কের যানবাহনগুলো চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। ঘন কুয়াশার মধ্যেই গায়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে কর্মজীবী মানুষ ছুটছে কাজের সন্ধানে। সকাল ১০টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ্ বলেন, কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকলেও আজ সকালে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এ বছরের মধ্যে আজ সবচেয়ে ঘন কুয়াশা দেখা গেছে। ঘন কুয়াশায় সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে আসতে না পারায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। এ জন্য প্রায় সারা দিনই শীত অনুভূত হবে।
মন্তব্য করুন