ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় সিংহাড়ি ও কামার পুকুর এ দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবনের অভাবে টিনসেডের তৈরি পুরাতন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ রুমগুলোতেই চলছে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান। এতে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবক মহল।
১৯৮৯ সালে সিংহাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে চার কক্ষ বিশিষ্ট টিনসেডের একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। ১৯৮৬ সালে কামার পুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি টিনসেড ভবন নির্মাণ করা হয়। দুটি বিদ্যালয়ের মধে সিংহাড়ি বিদ্যালয়ে ১৭২ জন ও কামার পুকুর বিদ্যালয়ে ২০৫ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে।
জীবন ঝুঁকি নিয়েই চলছে বিদ্যালয় দুটিতে পাঠদান। ভবনগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহার হওয়ার কারণে এর বারান্দা ও উপরের ছাউনির টিনে মরিচা ধরে নষ্ট হওয়ায় ফুটো হয়ে গেছে। দরজা-জানালাগুলোর বেহাল দশা হয়ে পরেছে। বৃষ্টির দিনে টিনের ফুটো দিয়ে শ্রেণিকক্ষে পানি পরে ছাত্রছাত্রীদের বই ও শরীর ভিজে যায়। আবার গরমের সময় অতিরিক্ত গরম ও রোদের তাপে শ্রেণিকক্ষে ছাত্রছাত্রীদের থাকা কষ্টকর হয়ে পরে বলে জানা গেছে। বর্ষা মৌসুম আশার পূর্বেই বিদ্যালয়গুলোতে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি করেছেন ছাত্রছাত্রীর অবিভাবকমহলসহ এলাকাবাসী।
বিদ্যালয় দুটির নতুন ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু তাহের ও হবিবর রহমান বলেন, সার্বিক বিবেচনায় জনস্বার্থে বিদ্যালয় দুটিতে অতি জরুরিভাবে নতুন ভবন দেওয়া উচিত। উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার জাহিদ ইবনে সুলতান সাগর বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলোর তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন