বগুড়ায় প্রতিবারের মতো এবারও আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা। বগুড়া শহরতলীর বারপুর ঝোপগাড়ি এলাকায় এ ইজতেমা শুরু হবে। এরই মধ্যে মুসুল্লিরা বগুড়ায় এসে পৌঁছেছেন।
বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর উদ্বোধনী আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের পশ্চিম পাশে ঝোপগাড়ি দোয়েল পাম্পের সামনে প্রায় ১০ একর জমির ওপর এ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইজতেমায় প্রায় লাখো মুসুল্লির আগমন ঘটবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করছে।
ইজতেমা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মশিউর রহমান শাহীন জানান, ঢাকার কাকরাইল মসজিদের তত্ত্বাবধানে প্রতিবারের মতো বগুড়ায় বিশ্ব ইজতেমা শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর (শনিবার) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ হবে।
তিনি জানান, ইজতেমায় লাখো মুসুল্লির থাকার জন্য বাঁশের খুটির সঙ্গে চট দিয়ে সামিয়ানা টানিয়ে বিশাল প্যান্ডেল নির্মাণ, দেড় হাজার মুসুল্লির একসঙ্গে অজুর ব্যবস্থা, সহস্রাধিক টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়াও গোসলের জন্য তিনটি পুকুরপাড়ে বাঁশের মাচা ফেলে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইজতেমায় মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে শতাধিক সাথী (স্বেচ্ছাসেবক) সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। ইজতেমা ময়দানে মুসুল্লিদের বিনামূলে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য এবার বিদেশি মেহমানদের ঢাকার বাইরে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, মুসুল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইজতেমা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ময়দানে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে। সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে ইজতেমা ময়দান।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) স্নিগ্ধ আকতার জানান, ইজতেমা ময়দানে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তারা পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করবেন। মুসুল্লিদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ইজতেমা মাঠে পুলিশ, র্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি তাবলিগ জামায়াতের নিজস্ব সদস্যেরাও পাহারার দায়িত্ব পালন করবেন।
মন্তব্য করুন