মাত্র চার থেকে পাঁচ দিনের ব্যবধানে চলনবিলাঞ্চলের হাটবাজারে ফের প্রকারভেদে সব ধরনের শীতকালীন সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ফলে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ শীতকালীন সবজি কিনতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।
সরেজমিনে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার স্থানীয় হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের ব্যবধানে সব ধরনের কাঁচা তরিতরকারির দাম আবারও বেড়েছে। যেমন ৪৫ টাকা কেজির আলু (পুরাতন) এখন ৬০ টাকা, নতুন সাদা আলু ৬০ টাকা, লাল আলু ৭০ টাকার স্থলে ৮০ টাকা, ৬০ টাকা কেজির কাঁচা মরিচ বেড়ে এখন ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ৩৫ টাকা কেজির বেগুন বর্তমানে ৭০ টাকা, ৬০ টাকার নতুন শিম ৮০ টাকা কেজি, ৩০ টাকার কপি এখন ৪০ টাকা, জাতি লাউ প্রতিটি ৩৫ থেকে বেড়ে ৫৫ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া এখন ৪০ টাকা, ৩০ টাকা কেজির শশা ৪০ টাকা ২৫ টাকার কেজির পালং শাক ৩৫ টাকা কেজি, পুঁই শাক কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে এখন টাকা ৪০ টাকা, কলার মোচা ৫০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৬৫ টাকা, ৬০ টাকা কেজির টমেটো ৮০ টাকা, ৫০ টাকা কেজির শলুকের পাতা ৮০ টাকা, ৮০ টাকা কেজির ধনেপাতা ১০০ টাকা, ১০ টাকা কেজির মুলা ২০ টাকা এবং পেঁপে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে এখন তা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এভাবে সব ধরনের সবজি বা তরকারির দাম বাড়েছে।
তাড়াশ বাজারে সবজি কিনতে আসা তাড়াশ পৌর এলাকার কোহিত মহল্লার কৃষক জাকির হোসেন জানান, গত কয়েকদিন পূর্বেও প্রায় সব ধরনের সবজির দাম মোটামুটি সহনীয় ছিল। কিন্তু শীতের সবজির ভরা মৌসুমে এখন আবারও সবজির দাম চড়া। আর দামের ঠেলায় আমরা সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছি। বিশেষ করে ৩৫ টাকা কেজির বেগুন কী কারণে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে তা বোধগম্য নয়।
অবশ্য, নাদোসৈয়দপুর হাটের কাঁচা তরকারি বিক্রেতা মো. মফিজুল ইসলাম জানান, চলনবিলাঞ্চলের বেশির ভাগ তরকারি বগুড়া, নাটোর, পাবনা, রাজশাহী এলাকার পাইকারি দরের হাটবাজার থেকে আশে। আর সে সব বাজারেও পাইকারি দরের তরকারির দাম হঠাৎ করেই আবার কেজিতে গড়ে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এ কারণে খুচরা বাজারেও দাম বৃদ্ধির প্রভাব পরবে এটাই স্বাভাবিক।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) খালিদ হাসান বলেন, চলনবিল একটি বৃহৎ এলাকা। তবে তাড়াশে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখার চেষ্টা অব্যহৃত রয়েছে।
মন্তব্য করুন