ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির পর লালমনিরহাটের তিস্তা তীরবর্তী এলাকা ও নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তা নদীর পানি। এর আগে পানিপ্রবাহ কমে সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
যদিও একই দিন ভোররাতে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বেড়ে যায়। পরে সকাল ৬টায় ওই পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে রেকর্ড করা হয়।
এদিকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানির পরিমাপ কমলেও এখনো লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চলের কিছু বাড়িঘরে পানি রয়েছে। এখনো পানিতে তলিয়ে রয়েছে বাদাম, আমন বীজতলা ও সবজি ক্ষেত, পানির নিচে রাস্তাঘাট। বন্যাকবলিত কিছু বাড়িঘর থেকে পানি নেমে গেলেও রয়েছে কর্দমাক্ত। ফলে চলাচলে কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসব এলাকার বাসিন্দাদের।
সদর উপজেলার আনন্দবাজার তিস্তাপাড়ের বাসিন্দা করিমন বেগম কালবেলাকে বলেন, ঘরের পানি নেমে গেছে। রান্নাঘরের চুলা ভিজে আছে। পুরো বাড়িতে কাদা। চলাচল করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।
তিস্তা গবর্ধন চরের বাসিন্দা আবদুর রহিম বলেন, বন্যার পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে সবজি ও বাদাম ক্ষেত। পানি কমে যাচ্ছে, তবে কাদাযুক্ত রাস্তাঘাটে চলাচলে ভোগান্তি বেড়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, পানি আবারও কমতে শুরু করেছে। ঈদের আগে ও পরে জেলার বন্যাকবলিত ইউনিয়নগুলেতে ৩০০ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন