ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের বাশরুক গ্রামের নিজ ভোটকেন্দ্রে সপরিবারে ভোট দিতে গিয়ে এ হামলার স্বীকার হন তিনি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দুপুরের ভোট দিয়ে কেন্দ্র থেকে ফেরার পথে একই গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে শওকত আলী তার দলবলসহ অতর্কিত হামলা করে। এতে ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন। পরে আহত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে নবীনগর সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির ও জেলা পরিষদ সদস্য নাসির উদ্দিন জানান, সাদেক একজন দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সে লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান নবীনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান। তার ওপর সন্ত্রাসী শওকত বাহিনীর হামলা তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এ বিষয়ে আহত নবীনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক জানান, প্রথমে ভোট কেন্দ্রে লাইন নিয়ে শওকত আলীর লোকজনের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হওয়ার হয়। পরে আমি ভোট দিয়ে ফেরার পথে শওকত আলী ও বাশারের দলবল কিছু বোঝে ওঠার আগে আমার ওপর এলোপাতাড়িভাবে হামলা করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করি।
হামলার বিষয় শওকত আলী অস্বীকার করে জানান, আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। এখানে ভোটকেন্দ্রে লাইভ দেওয়া নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান ও কিছু লোকের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়েছে।
নবীনগর উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হাবিবুর রহমান জানান, চিকিৎসার জন্য ভাইস চেয়ারম্যানকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করি। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার ওসি মাহবুব আলম বিকেলে বলেন, ‘ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করা হয়। জানা গেছে সাদেক চেয়ারম্যানের ওপর পূর্বের নানা কর্মকাণ্ডে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ থাকা এলাকার কিছু বিক্ষুব্ধ লোকজন মূলত এ হামলা করেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
মন্তব্য করুন