সিলেট জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:২৭ পিএম
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সিলেটে সাদেকসহ ৩ নার্সের বিরুদ্ধে মামলা

ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে ধরা পড়েন আমিনুল ইসলাম। ছবি : কালবেলা
ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে ধরা পড়েন আমিনুল ইসলাম। ছবি : কালবেলা

চাকরি দেওয়া, বদলিসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিন সেবকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রাতে সিলেট কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ হানিফ। মামলায় প্রধান আসামি হলেন- ইসরাইল আলী সাদেক। তিনি হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স (পুরুষ) ও বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ) সাধারণ সম্পাদক। অপর দুই আসামি হলেন- সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. আমিনুল ইসলাম ও সিনিয়র স্টাফ নার্স সুমন চন্দ্র দেব।

এর আগে ৯ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে ঘুষের ৬ লাখ টাকাসহ মামলার অপর দুই আসামিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে আটক করেন ডিজিএফআই সদস্যরা।

ওসমানী হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এই তিনজনের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়া, বদলি করানো, আউটসোর্সিং নিয়োগ দেওয়া, সরকারি ওষুধ বাইরে পাচারসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করে মামলা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স গীতা রানী হালদারের গত আট বছরের প্রাপ্য ৩৪ লাখ টাকা বকেয়া বিল করে দেওয়ার বিনিময়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন সাদেক। পরে গীতাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও চাপ দিয়ে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে রাজি করান। এর পরে গীতা তাকে অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা দেন। পরে ৯ জানুয়ারি দুপুর ১২টার সময় সাদেকের দাবি করা বাকি ৬ লাখ টাকা আমিনুলের কাছে জমা দেন গীতা। তখন ডিজিএফআই সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমিনুলকে নগদ ৬ লাখ টাকাসহ আটক করেন। পরে আমিনুলের দেওয়া তথ্যমতে সুমনকে আটক করা হয়।

আটকদের পুলিশে সোপর্দ করা হলে তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সাদেকের নির্দেশনায় ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবত এসব অবৈধ কাজ করে আসছেন তারা।

হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ বলেন, সাদেক বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, দালালি, অর্থ আত্মসাৎ করে বিপুল অর্থ-সম্পদ অর্জন করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনসহ অন্যান্য দপ্তরে তার বিরুদ্ধে একাধিক তদন্ত চলছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা সিলেট কোতোয়ালি থানায় এজাহার করেছি।

কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, সাদেকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে মামলা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর আগে ডিজিএফআই সদস্যরা এই হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্সকে (পুরুষ) অর্থসহ আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। মামলার প্রধান আসামি ইসরাইল আলী সাদেক পলাতক আছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঘরে ঝুলছিল বিচারকের স্ত্রীর লাশ

বুমরাহকে নিয়ে ঝুঁকির মুখে ভারত: খেলালে সব শেষ?

জবি শিক্ষকের নামে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল রেসপন্স সেন্টারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

পাথর কোয়ারি বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি ইসরায়েল’

বিইউবিটিতে বিগ ব্যাং তত্ত্ব নিয়ে সেমিনার

নতুন ভূমিকায় মিরাজ, ব্যাটিং অর্ডারেও আনছেন পরিবর্তন

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের অনুমোদন চক্রান্তের পদধ্বনি : খতমে নবুওয়ত

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় / সাবেক দুই মন্ত্রীর স্বজনসহ ৫ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি

১০

দুই দফা কমে আবার বাড়ল স্বর্ণের দাম

১১

বাড়ি ছাড়লেন মুরাদনগরের সেই নারী

১২

ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন সুস্মিতা রায়

১৩

ঢাবিতে রিকশাচালকের মৃত্যু 

১৪

বাংলাদেশকে কঠিন প্রতিপক্ষ বলে মানছেন আসালাঙ্কা

১৫

জুনে এলো তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স

১৬

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে আর নেই : জয়া আহসান

১৭

গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবে না : গণতন্ত্র মঞ্চ

১৮

যে খাবারগুলো ইচ্ছেমতো খেলেও বাড়বে না ওজন

১৯

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৯০০ ফুট নিচে নেমেছিল এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমান

২০
X