সারা দেশের মতো শরীয়তপুরের বাজারগুলোতে ভরা মৌসুমে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। বাজারে সব ধরনের শাকসবজির দেখা মিলছে। তবে দামে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না ক্রেতারা। তারা বলছেন, অন্য বছরের তুলনায় সবজির দাম চড়া।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে শরীয়তপুরের পালং বাজার, মনোহর বাজার, ডামুড্যা বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশ সবজির দাম আবারও বেড়েছে। কাঁচা মরিচের ঝাঁজ কমলেও সবজির দাম একটু বেশি। অধিকাংশ সবজির দামই গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে।
সরেজমিনে বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে পুরোনো আলুর সরবরাহ কম থাকলেও নতুন আলুর পর্যাপ্ত জোগান রয়েছে। মানভেদে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। পুরোনো দেশি ও এলসি (ভারতীয়) পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। দেশি রসুন ২৫০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ২৪০ টাকা কেজি। আদা প্রতি কেজি ২৬০ টাকা। ফার্মের ডিম প্রতি ডজন ১৩০ টাকা। বাজারটিতে শীতকালীন প্রচুর সবজির সরবরাহ রয়েছে। এরপরও প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। লম্বা বেগুন ৬০ টাকা ও গোল বেগুন ৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ৫০ টাকা। কাঁচা টমেটো ৪০ টাকা ও পাকা টমেটো ৫০ টাকা কেজি । একেকটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৯০-১২০ টাকায়।
পালং বাজারে শরিফ নামের এক ব্যবসায়ী কালবেলাকে বলেন, গত সময়ের চেয়ে এবারের শীতে সবজির দাম একটু বেশি। কেন বেশি এটা আমরা বলতে পারবো না। তবে শীত ও বৃষ্টিতে অনেক সবজি নষ্ট হয়েছে। এ কারণে হয়তো দাম প্রান্তিক পর্যায়ে বেড়েছে।
এদিকে শীতের সবজি কিনতে বাজারে আসা রতন সিকদার নামের এক ক্রেতা কালবেলাকে বলেন, বাজারে তো নতুন আলু এসেছে কিন্তু দোকানদাররা কারসাজি করে বেশি দামে বিক্রি করছে। এক মাস আগে থেকে ৭০ টাকায় আলু কিনতে হচ্ছে। সরকারকে বাজার তদারকিতে নজর দিতে হবে।
এদিকে ডামুড্যা বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী খলিল মাদবর কালবেলাকে বলেন, মাছের দাম বেশি, তাই বাজারে মুরগির বিক্রি বেশি হচ্ছে। পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দাম দিয়েও মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য মুরগির দাম আগের তুলনায় একটু বেশি। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২০০ টাকা ও সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মন্তব্য করুন