কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করার সময় চোখে পড়বে বাহারি ফুলবাগান। এতে ফুটে আছে বিভিন্ন জাতের গাঁদা, হাসনাহেনা, গোলাপ, সালভিয়া, এলোভেরা, বেলি, পাতাবাহার ও বাগানবিলাসসহ নানা ধরনের ফুল। ফলে হাসপাতালের পরিবেশ হয়ে উঠেছে মনোহর। অথচ এক সময় স্থানটি পরিত্যক্ত ছিল। আগত সেবাপ্রার্থীদের অসচেতনতায় নোংরা হয়ে থাকত। ফেলা হতো ময়লা-আবর্জনা। এ জায়গায় ফুলবাগান করে প্রশংসিত হয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
সরেজমিন দেখা গেছে, অসুস্থ রোগীরাও এসব ফুলের সৌন্দর্যে অভিভূত হচ্ছে। ফুলবাগান দেখছে রোগীদের সঙ্গে আসা স্বজনরা। এ ছাড়া হাসপাতালের অন্যান্য পতিত জমি ও আঙিনায় করা হয়েছে নানা ধরনের শীতকালীন সবজির আবাদ। এতে পুরো হাসপাতাল হয়ে উঠেছে সবুজময়।
জানা গেছে, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার আপামর জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসাস্থল ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রতিদিনই নানা অসুখ-বিসুখ নিয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন প্রায় দুই থেকে ৩০০ রোগী। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন ডা. আবু হাসনাত মো. মহিউদ্দিন মুবিন। তিনি এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পর থেকেই পাল্টে যেতে শুরু করে হাসপাতালের অবকাঠামো উন্নয়নসহ হাসপাতালের বাহ্যিক চিত্র।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মো. মহিউদ্দিন মুবিন কালবেলাকে বলেন, হাসপাতালে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা আসেন চিকিৎসাসেবা নিতে। এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সেবার মান বাড়াতে আমি যোগদানের পর থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছি।
তিনি বলেন, খেয়াল করে দেখেছি রোগীরা হাসপাতালের পরিত্যক্ত জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলছে। এতে এসব ময়লা-আবর্জনা হাসপাতালের পরিবেশকে দূষিত করে তুলছে। তাই আমি কমপ্লেক্সের পরিত্যক্ত জায়গায় ও ভবনের আঙিনায় সবজি আবাদ ও ফুলের বাগান করেছি। এতে করে হাসপাতালের পরিবেশ হয়ে উঠেছে সবুজ শ্যামল ও নানা রকম ফুলের সৌন্দর্যে সৌন্দর্যময়। এতে করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আমি মনে করি প্রকৃতিই মানুষের পরম বন্ধু ।
মন্তব্য করুন