‘কয় দিন ধইররা এ্যাকছের শীত পরে, রিকশার হ্যান্ডেল ধরলে আত কালো অইয়া যায়, যতই সোয়েটার গায় দেওয়া থাহে হ্যার পরও গাড়ি চালানের সময় গায় ঠান্ডা লাগে। একটা ট্রিপ দিয়া এই হানে আইয়া হালাইন্না জুটের ত্যানা, কাডা টিউব জ্বালাইয়া এট্টু আত-পাও গরম হরি, আবার খ্যাপ লইয়া যাই। ১২টা, ১টা ছাড়া বেইল (সূর্য) ওডে না। প্যাট চাইতে অইলে বেইন্না হালে উইট্টা গাড়ি লইয়া নামা লাগে। খাতার (কাথা) মধ্যে হুইয়া থাকলে থাকলে তো আর প্যাট চলবে না ন্যাবো।’ কথাগুলো বলছিলেন ইলিয়াস মিয়া নামের এক রিকশাচালক।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে বরগুনা পৌর শহরের টাউন হল তালতলা বাস স্ট্যান্ডে গুটিশুটি মেরে শরীরে মোটা কাপড় জড়ানো কয়েকজন মাঝবয়সী যুবক আগুন পোহাচ্ছিলেন। সেখানে তাদের সঙ্গে ইলিয়াসও বসে ছিলেন।
বেশ কয়েক দিন ধরেই উপকূলীয় এ জেলায় ঘন কুয়াশার সঙ্গে হু হু করে বইছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। শীতে কাবু সব বয়সীরা। গত দুই দিন ধরে দুপুর ১২টার পর সূর্যের দেখা মেলে। প্রচণ্ড শীতে এ অঞ্চলের গ্রামের মানুষদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। হঠাৎ ঠান্ডায় বিশেষ করে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা একটু বেশিই বিপাকে পড়েছেন। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে জরুরি প্রয়োজন ও অফিসগামী মানুষ ছাড়া বাইরে মানুষ কম বের হতে দেখা গেছে।
শহরের বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে তাদের দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যমতে, আরও দুই-তিন দিন এমন অবস্থা থাকতে পারে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন