দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ২ জুলাই থেকে আমদানি শুরু হয় কাঁচামরিচের। তবে, মূল্য নিয়ন্ত্রণে তা দৃশ্যমান ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে দাবি ক্রেতা-সাধারণের।
ক্রেতারা বলছেন, সাতক্ষীরার বাজারে কাঁচামরিচের দাম উঠেছিল ৫০০ টাকা পর্যন্ত। পরে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হলে দাম নেমে যায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। তবে, মাত্র দুদিনের ব্যবধানে তা আবারও বেড়ে কেজি প্রতি ৪০০ টাকা হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে ক্রেতারা। বিব্রত হচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারাও।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড় বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
খুচরা কাঁচামরিচ বিক্রেতা রনি বলেন, ভারতীয় কাঁচামরিচ সরবরাহ খুবই কম। যা আসছে, তা পাইকারি ব্যবসায়ীরা মজুত করে দাম বৃদ্ধি করছে। আমরা খুচরা বিক্রি করি, মরিচ না পেয়ে তাদের দামে আমাদের ক্রয়-বিক্রি করতে হচ্ছে। উপায় নেই।
সুলতানপুর বড় বাজারে কাঁচামরিচ কিনতে আসা আজিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে একবার যে জিনিসের দাম বাড়ে, তা কমানোর সাধ্য কার আছে। তাইতো ৭০ টাকার কাঁচামরিচ এখন ৪০০ টাকা।
তবে, কাঁচামরিচের দাম নিয়ে অজ্ঞাত কারণে কথা বলতে চাননি সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড়বাজারের আড়তদার মেসার্স আব্দুল্লাহ ট্রেডার্সের মালিক আওয়াল, রাসেল ট্রেডার্সের মালিক রজব আলী খানসহ অন্য আড়তদাররা। তারা বলেন, আমরা কিছু বলতে বাধ্য নই।
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন জানান, ২ জুলাই থেকে ৬ জুলাই দুপুর পর্যন্ত ভোমরা বন্দর দিয়ে প্রায় ২৮৮ দশমিক ১ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। আজ আরও কিছু কাঁচামরিচ আসতে পারে।
এদিকে ভোমরা বন্দরের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ভারত থেকে কাঁচামরিচের আমদানি মূল্য পড়ছে টন প্রতি ৪৫০ ডলার। এ ছাড়া প্রতি টনে ৩২ হাজার ৬০০ টাকা কর দিতে হচ্ছে। সে হিসাবে প্রতি কেজি কাঁচামরিচের আমদানি মূল্য পড়ছে প্রায় ৮০ টাকা। যা বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪০০ টাকায়।
মন্তব্য করুন