ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রাতে ঝিরঝির বৃষ্টির মতো কুয়াশা, সূর্যের আশায় অর্ধবেলা

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ভোরে ছিল ঘন কুয়াশা। ছবি : কালবেলা
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ভোরে ছিল ঘন কুয়াশা। ছবি : কালবেলা

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে রাতভর ঝিরঝির বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরে ভিজে গেছে পিচঢালা পথ। ভোরে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল চারদিক। উত্তরের হিমশীতল বাতাসে কাবু জনজীবন। মৃদু শৈত্যপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ।

দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, শনিবার (২০ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ ও বাতাসের গতি ২ নটস ছিল। সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আদ্রতা ৯৫ শতাংশ ও বাতাসের গতি ১ নটস রেকর্ড করা হয়েছে। তবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুয়াশার পরিমাণ কমে গিয়ে উঁকি দিতে শুরু করে সূর্য।

সকাল সাড়ে ১০টায় রিকশা-ভ্যান মেকার সাগর চন্দ্র বলেন, সকালে যখন বাড়ি থেকে বের হয়েছেন, তখন কুয়াশায় জামা-কাপড় ভিজে গেছে। ভেজা কাপড় চোপড় নিয়ে দোকানে এসে ঠান্ডায় টিকে থাকা দায় হয়ে গেছে। রোদ না উঠলে বাড়িতে চলে যেতে হবে।

অটোরিকশা চালক বাবু ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছেন। কিন্তু সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কোনো যাত্রী বহন করতে পারেননি। ফলে শূন্য হাতে বসে রয়েছেন নাইট কোচ স্ট্যান্ডে যাত্রীর অপেক্ষায়। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে মানুষজন প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে রেব হচ্ছেন না।

টানা কয়েক দিনের কনকনে শীতে ফুলবাড়ীতে শীতের পুরোনো গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষ শীত নিবারণ করতে কিনছেন পুরোনো গরম কাপড়। এদিকে তীব্র শীতের কারণে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, নিউরোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসছেন চিকিৎসা নিতে। ঠান্ডাজনিত রোগ এড়াতে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

গত ২ জানুয়ারি থেকে শনিবার (২০ জানুয়ারি) পর্যন্ত মাঝে মধ্যেই মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে ফুলবাড়ীর ওপর দিয়ে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শফিউল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত উপজেলার পৌর এলাকাসহ সাত ইউনিয়নের জন্য চার হাজার ৭৬৪টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বরাদ্দের কম্বলগুলো ইতিমধ্যে দুস্থ ও অসহায় শীতার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। আরও কম্বলের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা আজ

ছক্কার ঝড় তুলে ম্যাচসেরা সাইফের মুখে আত্মবিশ্বাসের কথা

আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করে তৃপ্ত জাকের

আবারও ভারতের কাছে কুপোকাত পাকিস্তান

সাবেক যুবদল নেতার উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার 

আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা

কাশিয়ানীতে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চান মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বস্তিবাসীরা

নির্বাচনের জন্য দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি : লায়ন ফারুক 

সাইফ ঝড়ে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

১০

আফগানদের বিরুদ্ধে জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

১১

বৃষ্টিসহ আগামী ৫ দিনের পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

১২

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি ও কার্টিন ইউনিভার্সিটির চুক্তি স্বাক্ষর

১৩

স্মার্ট কার্ডের সংকট কাটাতে আসছে ‘ব্ল্যাংক কার্ড’

১৪

সেই বিয়ের কথা স্বীকার করলেন পরীমনি

১৫

দুর্গোৎসবে টাইমস স্কয়ারে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের আবহ

১৬

‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন ২০০৯’ সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি

১৭

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার নীতিমালা সংশোধন

১৮

কর্মবিরতিতে ভেঙে পড়েছে টিকাদান কর্মসূচি

১৯

আ.লীগ নেতাকে ছিনতাই, ২২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

২০
X