চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে হাফিজা খাতুন (৩০) নামের এক নার্সকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌর এলাকার মা নার্সিং হোম ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
হাফিজা খাতুন ওই ক্লিনিকের নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত সেটা এখনো জানা যায়নি।
ক্লিনিকের এক সহকর্মী জানান, রাতে ক্লিনিকের দ্বিতীয়তলায় হাফিজার সাথে আলাপচারিতা শেষে তিনি তৃতীয় তলায় যান। কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয়তলায় এসে হাফিজাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেন তিনি। কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে জানা নেই। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রক্তাক্ত অবস্থায় হাফিজা খাতুনকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক হাফিজাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, সকালে নিহতের স্বামী এই ক্লিনিকে এসেছিলেন। হাফিজার সঙ্গে তার কোনো কারণে বাগবিতণ্ডতা হয়। এরপরই সেখান থেকে তিনি চলে যান।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাগবির হাসান বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ (পিপিএম-সেবা) বলেন, ক্লিনিক থেকে এক নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে বলে জেনেছি। আমি আমার টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। এরপর জেনে বিস্তারিত বলতে পারব।
মন্তব্য করুন