সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক,পাবনা
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৪৮ পিএম
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চুরি করতে এসে মা-ছেলেকে খুন

ডিবির হাতে গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি : কালবেলা
ডিবির হাতে গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি : কালবেলা

উদ্দেশ্য ছিল চুরি। চুরির সময় দেখে ফেলায় হত্যা করা হয় প্রবাসীর স্ত্রী এবং তার ১০ বছরের শিশুকে। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে পাবনার চাটমোহরের চাঞ্চল্যকর মা-ছেলে হত্যাকাণ্ডের রহস্য। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের ব্যবহৃত মালামাল উদ্ধার করেছে।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- চাটমোহর দিঘুলিয়া গ্রামের মোজাম আলী ওরফে মোজাম্মেলের দুই ছেলে মো. সাদ্দাম হোসেন (২৬) ও মো. হোসেন আলী (৩৭) এবং রাজবাড়ী জেলার সদর থানার খানখানাপুর দত্তপাড়া মো. মোস্তাফা মিজির ছেলে মো. হুমায়ুন মিজি ওরফে হৃদয় (২৮)। নিহত লাবনী খাতুন (৩৫) ও রিয়াদ হোসেন (৮) চাটমোহরের দিঘুলিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের স্ত্রী-সন্তান।

পুলিশ সুপার জানান, আব্দুর রশিদ গত ৭ বছর ধরে মালয়েশিয়া থাকেন। প্রবাসীর রশিদের স্ত্রী লাবনী খাতুন তার বাড়ি নির্মাণের জন্য গত কয়েক দিন আগে প্রায় ২৫ হাজার ইট কেনেন এবং ব্যাংক থেকে নগদ অর্থ তুলে করে বাড়িতে রাখে। লাবনী খাতুনসহ তার ১০ বছরের ছেলে রিয়াদ ২৫ জানুয়ারি রাতে খাওয়া শেষে নিজ বসত ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। পরের দিন সকালে ঘরের দরজা খোলা এবং আসবাবপত্র এলোমেলো দেখে সবাই খোঁজাখুজি শুরু করে। একপর্যায়ে লাবনীর মৃতদেহ ছাগল রাখার ঘরে এবং ১০ বছরের ছেলে রিয়াদের মৃতদেহ বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন এবং চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারের জন্য কাজ শুরু করে।

তিনি জানান, নিহত লাবনী খাতুন বিপুল টাকায় ইট কেনায়এবং ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের খবরে আসামিদের ধারণা হয় তাদের কাছে অনেক টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার আছে। এই ধারণা নিয়ে আসামি মো. হোসেন আলী ভুক্তভোগীদের বাড়িতে চুরির পরিকল্পনা করে। পরে তার আপন ছোট ভাই সাদ্দাম তাদের পূর্বপরিচিত ফরিদপুর জেলার হুমায়ুন কবির হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ২৫ জানুয়ারি রাতে ওই বাড়িতে চুরি করতে যায়। একপর্যায়ে লাবনী খাতুন ও তার সন্তান রিয়াদ টের পেয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের হত্যা করে এবং ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য রিয়াদের লাশ বাড়ির পাশের গাছে ঝুলিয়ে রাখে এবং লাবনীর লাশ গোয়াল ঘরে ফেলে রাখে। পরে তারা স্বর্ণের রিং, চেইন, হাতের বালা, কানের দুল, দুইজোড়া রুপার নুপুর, রুপার পায়েলসহ মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন এবং তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু বক্কর সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হাসিবুল বেনজির, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ইমরান মাহমুদ তুহিন, সদর থানার ওসি রওশন আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অবশেষে আ.লীগের মন্ত্রীর ভাইকে সরানো হলো মুদ্রণ শিল্প সমিতি থেকে

আগামী ২ দিনের আবহাওয়া নিয়ে নতুন বার্তা

চবি ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তকারীদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে : আমীর খসরু

ফিল্মি কায়দায় প্রবাসীকে অপহরণ, পুলিশের অভিযানে উদ্ধার

ফজলে করিমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে ইংরেজিতে দক্ষ হবেন যেভাবে 

অধ্যাপক ব্রজ গোপাল বৈষ্ণবের পরলোকগমন

নৌবাহিনীর দায়িত্বে চট্টগ্রাম বন্দরে বেড়েছে গড় কনটেইনার হ্যান্ডলিং

তপশিলে নৌকা প্রতীক নিয়ে ইসির সিদ্ধান্ত

১০

সোহাগ হত্যাকাণ্ডকে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ বলে প্রচার করছে ভারতীয় গণমাধ্যম

১১

বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি ভালো : বিশ্বব্যাংক

১২

শাহবাগের ‘প্রজন্ম চত্বর’ স্থাপনাটি ভেঙে দিয়েছে সিটি করপোরেশন

১৩

বিএনপির দুপক্ষে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

১৪

গণঅভ্যুত্থানের পোস্টার ও পোস্টকার্ড প্রকাশ 

১৫

দাপুটে জয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল বাংলাদেশ

১৬

চাঁদা না দিলে পদকপ্রাপ্ত চা চাষিকে হত্যার হুমকির অভিযোগ

১৭

নিহত সোহাগের পরিবারের পাশে বিএনপি, খুনিদের ফাঁসির দাবি

১৮

৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি : তিন আসামি কারাগারে 

১৯

স্ত্রী বারবার প্রেমিকের সঙ্গে পালান, তালাকের পর দুধ দিয়ে গোসল স্বামীর

২০
X