সিরাজগঞ্জের তাড়াশের হেদারখাল থেকে কুন্দইল পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগে পাঁচটি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সড়কটি পাকাকরণ না হওয়ায় এলাকার কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসলের দাম পাচ্ছেন না। শত শত শিক্ষার্থীদের কাদাপানি মাড়িয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে। পাশাপাশি প্রসূতি মা, অসুস্থ রোগী সময়মতো হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয় নয়।
সান্দুরিয়া এলাকার বাসিন্দা আক্কাস আলী জানান, বর্তমান সরকারে ১৫ বছরে তাড়াশ উপজেলা এলাকার সড়কের উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু হেদারখাল থেকে কুন্দইল পর্যন্ত কোনো উন্নয়ন হয়নি। বর্ষাকাল, গ্রীষ্মকালে এই সড়কে কাদাপানি, খরখরে মাটি এবং ধুলাবালির কারণে চলাচল করা যায় না। এর ফলে কোনো যানবাহনই এই সড়কে চলাচল করে না। এ কারণে এখানকার মানুষ হেঁটেই চলাচল বেশি করে।
তিনি আরও জানান, এ সড়ক দিয়ে ধাপতেতুলিয়া, সান্দুরিয়া, ভেটুয়া, প্রতিরামপুর, সাচান দীঘি, কুন্দইল গ্রাম এলাকার অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। আবার এ সড়ক দিয়ে কুন্দইল বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, বারুহাঁস উচ্চ বিদ্যালয়, খড়খড়িয়া বিনোদপুর দাখিল মাদ্রাসা, ধাপতেতুলিয়া, সান্দুরিয়া, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কওমি মাদ্রাসার বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী-শিক্ষক চলাচল করেন। তবে সড়কের বেহাল দশায় প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়তে হয়ে এলাকাবাসীদের।
সাচান দীঘি গ্রামের কৃষক আমির আলী জানান, এই সড়কটি পাকা না হওয়ায় এ এলাকার কৃষক তাদের ফসল হাটবাজারে বিক্রি করতে সমস্যায় পড়ে। ফসল পরিবহন করতে না পেরে বাড়ি থেকে বাজারমূল্যের অনেক কম দিয়ে ফসল বিক্রি করতে বাধ্য হয় অনেকে। এতে বছরের পর বছর একটি সড়কের অভাবে কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
সড়কের দুরবস্থা প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক বলেন, হেদারখাল-কুন্দইল আঞ্চলিক সড়কের দেড় কিলোমিটার পাকাকরণের জন্য আবেদন করা হয়েছে। অর্থ বরাদ্দসাপেক্ষে কাজ করা হবে।
মন্তব্য করুন