গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা রঙিন ফুলকপি, ভাগ্য ফেরাতে পারে চাষির

ক্ষেত থেকে রঙিন ফুলকপি তুলে দেখাচ্ছেন রিপন মিয়া। ছবি : কালবেলা
ক্ষেত থেকে রঙিন ফুলকপি তুলে দেখাচ্ছেন রিপন মিয়া। ছবি : কালবেলা

আধুনিকায়নের ছোঁয়া লেগেছে কৃষিতে। গবেষণা ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কৃষক ফসলের উৎপাদন বাড়াচ্ছেন। তেমনি নতুন ধরনের ফসল চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন। এ ধারায় যোগ হয়েছে রঙিন ফুলকপি। এটি চাষে সফলও হচ্ছেন কৃষক। এমনই একজন টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার বরুরিয়া গ্রামের কৃষক রিপন মিয়া (২৮)। উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় রঙিন ফুলকপি চাষ করে তিনি সাফল্য পেয়েছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, দুই বছর আগে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে রিপন মিয়া সাত বন্ধুকে নিয়ে সেভেন স্টার অ্যাগ্রো ফার্ম নামে চার একর জমিতে ফুলকপি, শসা, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়ার চাষ শুরু করেন। এ বছর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে জামালপুর থেকে দুই হাজার রঙিন ফুলকপির চারা সংগ্রহ করেন। ২০ শতাংশ জমিতে সাদা ফুলকপির পাশাপাশি বেগুনি ও হলুদ রঙের ফুলকপির চাষ করেন তিনি। এতে তার সেচ, পরিবহন ও জৈব, রাসায়নিক সারের খরচ বাবদ ব্যয় হয়েছে ১২ হাজার টাকা।

এ জাতের কপি রোপণের ৮০-৮৫ দিনের মধ্যে বিক্রি করা যায় এবং সাধারণ কপির মতোই চাষাবাদ করতে হয়। তবে জৈবসার বেশি প্রয়োগ করলে ফলন ভালো হয়।

রঙিন ফুলকপির ব্যাপক চাহিদা থাকায় ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এবং প্রতিটি কপির ওজন হয়েছে দেড় থেকে দুই কেজি। এতে এক লাখ টাকার ওপরে বিক্রয় মূল্য আসবে বলে জানান রিপন মিয়া।

রিপন মিয়া বলেন, চাষাবাদ শুরুর পর রঙিন ফুলকপি চাষে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছি। আমার এখানে প্রতিদিন গ্রামের ৫-৬ জন নারী কাজ করছেন। মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছি, এটাও আমার আনন্দ। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক কৃষক আগ্রহ নিয়ে নতুন এই ফুলকপি দেখতে আসছেন। অনেকেই আগামীতে এই কপি চাষের আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ধনবাড়ী ও মধুপুরের আড়তে এগুলো বিক্রি করা হয়।

চাষাবাদের কাজে সহায়তা করা রহিমা বেগম (৫৫) বলেন, এই কপি দ্রুত সিদ্ধ হয়। স্বাদ ভালো। প্রতিদিন অনেক মানুষ এগুলো দেখতে আসে।

বরুরিয়া গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান তালুকদার বলেন, আগামী বছর আমিও এই রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী। যদি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে চারা পাই তবে আমিও চাষ করব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, রঙিন ফুলকপির মধ্যে বিটা কেরোটিন এবং অ্যান্টি অক্সডিন্টে থাকার কারণে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আগামীতে এই কপির চাষাবাদ বাড়াতে কৃষককে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নাসিরুদ্দিনের প্রতি ফারহানের ক্ষোভ প্রকাশ

বরিশালে আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

শতক থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৯২/৪

তারেক রহমানকে কটূক্তির অভিযোগে কনটেন্ট ক্রিয়েটরের নামে মামলা

যে কথা বলতে গিয়ে আল্লাহ ৭ বার শপথ করেছেন!

জাতিসংঘ প্রতিবেদনকে ঐতিহাসিক ঘোষণা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

গারো পাহাড়ের জঙ্গলে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ

জুলাই যোদ্ধা ও শহীদদের কাছে আমি আজীবন কৃতজ্ঞ : নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু

বিশ্বমঞ্চে জামদানিতে মিথিলার চমক

গণতন্ত্র চাইলে ‘মব ভায়োলেন্স’ থেকে সরে আসতে হবে : ফখরুল

১০

মঞ্চে মোদিকে পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন ঐশ্বরিয়া

১১

হেফাজতে থাকা আসামির বক্তব্য প্রচারের ব্যাখ্যা দিলেন আরএমপি কমিশনার

১২

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, বিক্রিও চড়া

১৩

মুশফিককে প্রশংসায় ভাসিয়ে যা বললেন দুবারের বিশ্বকাপজয়ী পন্টিং

১৪

জকসু নির্বাচন / শহীদ সাজিদের কবর জিয়ারত করল ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল

১৫

জকসু উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ থাকবে উন্মুক্ত লাইব্রেরি

১৬

ভাঙল শতরানের জুটি, শততম টেস্টে হাসল মুশফিকের ব্যাট

১৭

যে কারণে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ খেলতে পারবেন না রাকিব-তপু

১৮

আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস

১৯

দীনেশ চন্দ্র পালের আত্মার চিরশান্তি কামনায় প্রার্থনা সভা

২০
X