বরগুনার আমতলীতে নিখোঁজের দুদিন পর খাল থেকে তানজিলা বেগম (১২) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আমতলীর সোনাউঠা খাল থেকে ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় হৃদয়সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, বরগুনা আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পুজাখোলা গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেন খানের মেয়ে তানজিলা বেগম। তানজিলা ইসলামপুর হোসাইনিয়া দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের এক দিন পর মঙ্গলবার সকালে তার বাবা আমতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্থানীয়রা পুঁজাখোলা গ্রামের পাশে অবস্থিত সোনাউঠার খালের পাতাবনে তানজিলার মরদেহ পরে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ দুপুর ১টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে। উদ্ধারের পাশাপাশি পুলিশ পুজাখোলা গ্রামে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ঘটনার মূলহোতা প্রতিবেশী শহিদুল খানের ছেলে হৃদয় খান (২০) এবং তার সহযোগী ছোবহান খানের ছেলে জাহিদুলকে (১৯) গ্রেপ্তার করে।
পুজাখোলা গ্রামের বাসিন্দা ফোরকান হাওলাদার জানান, হৃদয়খান ও জাহিদুল এলাকায় বখাটে এবং মাদকসেবী হিসেবে পরিচিত। তারা বিভিন্ন খারাপ কাজের সঙ্গে জড়িত। মাদকাসক্ত হওয়ায় এলাকার মানুষ তাদের ভয় পায়। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।
নিহত তানজিলার বাবা তোফাজ্জেল হোসেন খান বলেন, আমার মেয়ে সকালে ঘর থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেনি। এরপর থেকে তার কোনো সন্ধান পাইনি। দুই দিন পর আজ তার লাশ পেলাম। আমার মেয়েকে হৃদয় ১৫ লাখ টাকার জন্য মেরে ফেলেছে। আমি তার ফাঁসি চাই।
নিহত তানজিলা বেগমের মা রেবেকা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার মেয়ে কী দোষ করছিল যে তাকে মেরে ফেলতে হবে? আমি আমার মেয়েকে হত্যার কঠিন শাস্তি চাই।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) আমির হোসেন সেরনিয়াবাদ জানান, ধারণা করা হচ্ছে ঘাতকরা শ্বাসরোধে হত্যার পর তানজিলার লাশ গুমের জন্য পাতাবনে ফেলে রাখে। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বরগুনার পুলিশ সুপার মো. আবদুস ছালাম ও আমতলী থানার ওসি কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু দুপুরেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খুনের মূলহোতা প্রতিবেশী হৃদয়খান এবং তার সহযোগী জাহিদুল নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন